অবৈধ অভিবাসীদের পক্ষে জোরালো অবস্থান হিলারির
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত লাখ লাখ অভিবাসীর পক্ষে বারাক ওবামার চেয়েও বেশি উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন হিলারি ক্লিনটন।
আজ মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক পত্রিকা দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট পদের জন্য নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে ডেমোক্র্যাট দলের মনোনয়ন পেতে হিলারি ক্লিনটন অভিবাসীদের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন।
হিলারি বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতার মাধ্যমে আমি সম্ভাব্য সবকিছু্ করব, জনগণকে স্বস্তি দেব ও পরিবারগুলোকে একত্রে রাখব।’
দেশটির সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয়েছে, প্রায় ৪০ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে ফিরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করতে বারাক ওবামা তাঁর কর্তৃত্বের সীমা লঙ্ঘন করেছেন কি না। ঠিক এমন সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন অভিবাসন ইস্যুতে কথা বললেন।
এদিকে, ওবামার পরিকল্পনা রুখতে টেক্সাসের নেতৃত্বে ২৬টি অঙ্গরাজ্য একটি আবেদন করেছে। এতে বলা হয়েছে, বিতর্কিত এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ওবামা তাঁর একতরফা ক্ষমতা ব্যবহার করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি কংগ্রেসকে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা কেন্দ্র হিসেবে না দেখে স্রেফ ‘রাবার স্ট্যাম্প’ বিবেচনা করেছেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে রক্ষণশীল বিচারপতি আন্তোনিন স্ক্যালিয়া মৃত্যুর পর যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত আদর্শিকভাবে বিভক্ত হয়ে গেছেন। সোমবার যে শুনানি হয়েছে, তাতে সুপ্রিম কোর্টের আট বিচারপতি সমান দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়তে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রিপাবলিকান দল থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বছর নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন এই বলে যে, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণে দেয়াল নির্মাণ করতে হবে। রিপাবলিকান দলের সব মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে ট্রাম্পের এই অবস্থান জনপ্রিয়তা পায়; বরং আরো অনেকে কঠোর অভিভাসনবিরোধী অবস্থান তুলে ধরেন।
এ অবস্থানের কারণে অনেক হিস্পানিক ভোটার রিপাবলিকান দল থেকে সরে গেছেন। আর ডেমোক্র্যাটরা এসব ভোট নিজেদের পক্ষে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
নিউইয়র্ক সিটিতে অভিবাসন ইস্যুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এখানকার অধিবাসীদের এক-তৃতীয়াংশের জন্ম আরেক দেশে। যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৩ সালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।