জাকির নায়েকের ফাউন্ডেশন নিষিদ্ধের চিন্তা করছে ভারত
ইসলামিক বক্তা জাকির নায়েকের প্রতিষ্ঠান ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনকে নিষিদ্ধ করার চিন্তা করছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
আজ সোমবার ডেকান ক্রনিকল, এশিয়ার এজসহ ভারতের বিভিন্ন দৈনিকে এ-সংক্রান্ত খবর বেরিয়েছে।
২০০৫ ও ২০১২ সালে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে দায়ের করা এজাহারের (এফআইআর) ভিত্তিতে ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনকে নিষিদ্ধ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে ভারতের আইন মন্ত্রণালয়। ফলে জাকির নায়েকের সংস্থাটির ভারতে নিষিদ্ধ হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৯৯১ সাল থেকে ভারতের মাটিতে পথচলা শুরু করে জাকির নায়েকের ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন। সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে, প্রতিষ্ঠানটি ইসলামিক স্টেটের মতো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও পরোক্ষভাবে জড়িত। জাকির নায়েকের বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে বেশ কয়েকজন আইএসে যোগ দিয়েছেন বলেও প্রমাণ পাওয়া যায়। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে জাকির নায়েকের প্রতিষ্ঠানের নানাভাবে জড়িত থাকারও অভিযোগ ওঠে। ফলে গোয়েন্দারা ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের কাজকর্ম পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন।
গত ১ জুলাই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় জঙ্গি হামলার পর আবার বিতর্কের কেন্দ্রে চলে আসেন জাকির নায়েক। তাঁর পিস টিভির ধর্মীয় ভাষণ থেকে হামলাকারীদের কয়েকজন অনুপ্রাণিত হয়েছিল বলেও অভিযোগ ওঠে।
এদিকে, ঢাকায় জঙ্গি হামলার ঠিক একদিন আগেই ভারতের মুম্বাই ছেড়ে সৌদি আরবে চলে যান জাকির নায়েক। ফলে ভারতীয় গোয়েন্দাদের সন্দেহ আরো জোরালো হয়ে ওঠে।
অন্যদিকে, এটাও জানা যায় যে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে নিহত হিজবুল মুজাহিদিন যোদ্ধা বুরহান ওয়ানিও জাকির নায়েকের ধর্মীয় ভাষণের ভক্ত ছিলেন।
ফলে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে বারবার পরোক্ষ কিংবা প্রত্যক্ষভাবে জাকির নায়েকের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় নড়েচড়ে বসে ভারতের গোয়ান্দা বাহিনী এবং প্রশাসন। এরই মধ্যে মুম্বাইয়ে ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের কার্যালয় বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে, এই প্রতিষ্ঠানের জনসংযোগ বিভাগ ইসলামিক স্টেটের হয়ে নতুন নতুন জঙ্গি পাঠানোর কাজ করছে ভারত থেকে।
অবশ্য নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন জাকির নায়েক। তবে তিনি এখনো ভারতে ফেরেননি। এমনকি মুম্বাই ফেরার ফ্লাইট বুকিং দিয়েও পরে তা বাতিল করেন।