এবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পর্নো তারকার অভিযোগ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এবার অভিযোগ করলেন পর্নো তারকা জেসিকা ড্রেইক। এ নিয়ে ১১ নারী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনলেন।
জেসিকা ড্রেইক পর্নো চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী এবং পরিচালক। স্থানীয় সময় শনিবার লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০০৬ সালে ট্রাম্প তাঁর কাছ থেকে ফোন নম্বর নেন এবং তাঁকে রাতে হোটেলে দেখা করতে বলেন। তিনি সেখানে আরো নারীকে সঙ্গে নিয়ে যান। কারণ, একা ট্রাম্পের কাছে যেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছিলেন না।
জেসিকা ড্রেইক বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) আমাদের প্রত্যেককে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলেন এবং কোনো অনুমতি ছাড়াই চুমু দিলেন।’ সংবাদ সম্মেলনে তাঁর আইনজীবী গ্লোরিয়া অলরেড উপস্থিত ছিলেন। তিনিই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরো নারী অভিযোগকারীদের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
ড্রেইক বলেন, অস্বস্তি নিয়ে তিনি ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট পর চলে আসেন। তবে পরে এক কর্মকর্তা তাঁকে ফোন দিয়ে বলেন, ট্রাম্প তাঁকে হোটেলে একা যেতে বলেছেন। ড্রেইক যেতে অস্বীকার করেন।
ড্রেইকের মতে, এরপর ট্রাম্প নিজেই তাঁকে ফোন করে ফিরে যেতে বলেন এবং তাঁর সঙ্গে পার্টি বা ডিনারে যেতে বলেন। এবারও ড্রেইক অস্বীকার করেন। এরপর ট্রাম্প জিজ্ঞাসা বলেন, ‘তুমি কী চাও? কত চাও?’
এরপর তিনি ১০ হাজার ডলারের প্রস্তাব দেন এবং তাঁর প্রাইভেট প্লেন ব্যবহার করা যাবে বলে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অলরেড একটি ছবি দেখান, যাতে ট্রাম্প ও ড্রেইক একসঙ্গে রয়েছেন।
তবে ট্রাম্পের নির্বাচনী শিবির থেকে বরাবরের মতো ড্রেইকের অভিযোগও অস্বীকার করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই গল্প পুরোপুরি মিথ্যা ও হাস্যকর। লোকজনের সম্মানে ট্রাম্পের সঙ্গে এ ছবি তোলা হয়েছে। ট্রাম্প এই নারীকে চেনেন না, তাঁকে মনে করতে পারছেন না এবং তাঁর ব্যাপারে আগ্রহও ছিল না।’
সম্প্রতি ২০০৫ সালের একটি ভিডিওচিত্র ফাঁস হয়। এতে দেখা যায়, রিপাবলিকান দল থেকে মনোনীত প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নারীদের নিয়ে অবমাননাকর ও অশ্লীল ভাষায় কথা বলেছেন।
এ ছাড়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন ক্রিস্টিন অ্যান্ডারসন, সামার জেরভস, সাবেক মিস ইউনিভার্স অ্যালিসিয়া মাচাদো, মিস অ্যারিজোনা টাশা ডিক্সন, জেসিকা লিডসসহ বেশ কিছু নারী।
এদিকে, নির্বাচনপূর্ব বিভিন্ন জরিপে ট্রাম্প তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনের থেকে বেশ কিছু পয়েন্ট ব্যবধানে পিছিয়ে আছেন। রিপাবলিকান দলের জ্যেষ্ঠ অনেক নেতা তাঁর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।