ইংল্যান্ডের সড়কে চালকবিহীন গাড়ি!
ইংল্যান্ডের একটি শহরে এমন এক গাড়ি ভাড়া করার পরিষেবা চালু করা হয়েছে, যেখানে সেবাকাঙ্ক্ষিত গ্রাহককে চালকবিহীন গাড়ি পাঠানো হয়। মিল্টন কেইনস শহরে ১৮ মাস ধরে ফেচ ভেহিকেল সিস্টেমটি পরীক্ষা করা হয়েছে এবং বর্তমানে তা গ্রাহকের দোরগোড়ায় আনা হয়েছে।
এই পরিষেবার পেছনে রয়েছে ‘ইম্পেরিয়াম ড্রাইভ’ নামের কোম্পানি। অফিসভিত্তিক অপারেটরের মাধ্যমে চালকবিহীন গাড়িগুলো কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছিয়ে দেওয়া হয়। তারা দাবি করছে, এরকম পরিষেবা ইউরোপে এই প্রথম।
ইম্পেরিয়াম ড্রাইভের প্রধান নির্বাহী কুশা কাভেহ বলেন, ‘এটি (পরিষেবায় ব্যবহৃত গাড়ি) চালকবিহীন বটে, তবে এখনও স্বচালিত নয়।’
একজন অপারেটর গাড়িতে থাকা একাধিক ক্যামেরার মাধ্যমে এর আশেপাশের ৩৬০ ডিগ্রি দৃশ্য দেখতে পারবেন। তা ছাড়া এর অপারেটিং সফটওয়্যারে (ওএস) থাকছে অ্যান্টি-ক্র্যাশ সেফটি সিস্টেম।
অ্যাপলিকেশনের (অ্যাপ) মাধ্যমে এই পরিষেবায় বৈদ্যুতিক গাড়ি ভাড়া করা যাবে। তবে, গ্রাহকের কাছে গাড়ি পৌঁছানোর পর নিজে থেকেই চালাতে হবে। যেহেতু গাড়িগুলো স্বচালিত নয়। মিল্টন কেইনস শহরের কেন্দ্র থেকে চার মাইল বা ছয় দশমিক চার কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে যেকোনো স্থান থেকে গাড়ি ভাড়া করার অনুরোধ জানানো হলে চালকবিহীন অবস্থায় পৌঁছে দেওয়া হবে।
একজন গ্রাহক যতটুকু সময়ের জন্য গাড়ি ভাড়া করবেন, তা শেষ হলে অপারেটর এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেবে এবং গাড়ি সংগ্রহ করবে।
কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ব্যবহৃত গাড়িগুলো শহরটির নানা সড়কে ১৮ মাস ধরে চালিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় পাড়ি দিতে হয়েছে হাজার মাইল বা এক হাজার ৬০৯ কিলোমিটারেরও বেশি পথ। আর এই যাত্রায় একটিও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।
কাভেহ বলেন, ‘এতে এখনও একজন মানুষ নিয়োজিত থাকছে। তবে তা নিয়ন্ত্রণ কক্ষে। একটি ড্রোনকে যেভাবে দূর থেকে চালাতে হয়, ঠিক সেরকম।’ তিনি আরও বলেন, ‘গাড়িগুলো যখন সম্পূর্ণভাবে স্বচালিত হবে, আমরা মনে করি যে, তখন এই ব্যবস্থা যুক্তরাজ্যে ব্যক্তিগত গাড়ির মালিকানার জায়গা দখল করবে।’