গরম থেকে বাঁচতে মানুষ ছুটছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শপিং মলে!
তীব্র তাপদাহে পুড়ছে ভিয়েতনাম। ইতোমধ্যে ভেঙেছে তাপমাত্রার রেকর্ড। এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে বিদ্যুতের সংকট। গরম থেকে রক্ষা পেতে শপিং মলে আশ্রয় নিচ্ছে দেশটির জনগণ। ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপির ফটো স্টোরিতে এমনটিই দাবি করেছে।
এএফপির ফটো স্টোরিগুলোতে দেখা যায়, ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শপিং মলে আশ্রয় নিয়েছে বাসিন্দারা।
গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। তবে, চাহিদা মোকাবিলায় হিমশিম খেতে হচ্ছে দেশটিকে। রয়টার্স বলছে, সম্প্রতি বিদ্যুত উৎপাদন কমেছে ভিয়েতনামে। বিদ্যুত সাশ্রয়ে সড়কের বাতি বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সরকার। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে অফ পিক আওয়ারে উৎপাদন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি কার্যালয়গুলোকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ভিয়েতনামের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মাসজুড়ে দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ অব্যহত থাকবে। এই মাসে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ঠেকবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তাপদাহ ও বিদ্যুতের সংকট সমাধানে হ্যানয়ে জনসমাগম এলাকায় প্রতিদিনের নির্দিষ্ট একটি সময়ে বাতি চালানো হবে। হ্যানয়ের ইলেকট্রিশিয়ান লুয়ং মিন কোয়ান বলেন, ‘যদি মানুষজন বিদ্যুত ঠিকমতো ব্যবহার করে, তাহলে আমরা সকলে বিদ্যুৎ পাব। যদি এমনটি না হয় তাহলে পাওয়ার গ্রিডে চাপ বাড়বে।’
গত সপ্তাহে ভিয়েতনামের সরকার দেশটির জনগণকে এয়ারকন্ডিশনের তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে না নামাতে পরামর্শ দিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে এমন ধরনের ইলেকট্রিক ডিভাইস বন্ধ রাখতে বলেছে।
ভিয়েতনামের ইন্ড্রাস্টির সঙ্গে যুক্ত একজন নাম প্রকাশ করার না শর্তে রয়টার্সকে বলেন, ‘জাতীয় গ্রিডের ওপর চাপ কমাতে কর্তৃপক্ষ শিল্প গ্রাহকদের অফ পিক আওয়ারে কাজের জন্য চাপ দিচ্ছে। এ সময় সামগ্রিক বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকে।’
দেশটির ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটরি অথরিটি (ইআরএভি) বলছে, চীনের টেক্সহং টেক্সটাইল গ্রুপের বড় কারখানা থেকে শুরু করে দক্ষিণ কোরিয়ার জুতা প্রস্তুতকারক চ্যাংশিন পর্যন্ত ১১ হাজারেরও বেশি কোম্পানি বিদ্যুত খরচ কমাতে সম্মত হয়েছে।