রোহিঙ্গাদের জোর করে ফেরত পাঠাবে না বাংলাদেশ : জাতিসংঘ
উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও নোয়াখালীর ভাসানচরে রয়েছে মিয়ানমারের মুসলিম জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গারা। তাদের নিজ দেশে ফেরাতে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন উদ্যোগ। তবে, তাদের জোর করে নিজ ভূখণ্ডে ফেরত পাঠানো হবে না, এমন প্রতিশ্রুতি জাতিসংঘকে দিয়েছে বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার (৬ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপি।
প্রতিবেদনে সংবাদ সংস্থাটি জানায়, জাতিসংঘের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, বিতর্কিত প্রস্তাবিত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় কোনো রোহিঙ্গাকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে না।
সম্প্রতি বাংলাদেশে সফরে আসেন জাতিসংঘের ডেপুটি হাইকমিশনার কেলি টি. ক্লেমেন্টস। চার দিনের সফর শেষে ফেরত গেছেন তিনি। সেই সফর নিয়ে গতকাল একটি বিবৃতিতে দেন কেলি। এতে তিনি বলেন, ‘যেসব রোহিঙ্গারা ফেরত যেতে চায়, তাদের বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট ও বাস্তব তথ্য জানা জরুরি। এসব তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।’
কেলি বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘কোনো শর্তে আশ্রিতদের ফিরে যেতে বাধ্য করা উচিত নয়। বাংলাদেশ সরকার আমাদের আশ্বাস দিয়েছে, এমনটি ঘটবে না।’
প্রতিবেদনে এএফপি জানিয়েছে, বাংলাদেশে যে রোহিঙ্গা আছে তাদের বেশির ভাগ ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা। ওই সময় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা চালানো হয়েছে কিনা, তা এখন বিচারাধীন।
১৯৮২ সালের বিতর্কিত বর্ণবাদী নাগরিকত্ব আইনে মিয়ানমারের প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার নাগরিকত্ব অস্বীকার করে মিয়ানমার। তবে, ২০১২ সালে রোহিঙ্গাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হোয়াইট কার্ড দেওয়া হয়েছিল। ২০১৫ সালে গণতান্ত্রিক সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্যেই তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।