উচ্চ গতির ক্ষেপণাস্ত্র উদ্ভাবনের দাবি ইরানের
দেশীয় প্রযুক্তিতে হাইপারসনিক মিসাইল (ক্ষেপণাস্ত্র) তৈরির দাবি করছে ইরান। ইতোমধ্যে উচ্চ গতির সেই ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করেছে তারা। তেহরানের দাবি, এটি ছোঁড়ার ৪০০ সেকেন্ডেই এটি ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম। আজ মঙ্গলবার (৬ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
প্রতিবেদনে গণমাধ্যমটি জানায়, হাইপারসনিক মিসাইল উন্মোচনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ক্ষেপণাস্ত্রটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফাত্তাহ’। তেহরানের দাবি, ৮৭০ মাইল (এক হাজার ৪০০ কিলোমিটার) দূরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম মিসাইলটি। প্রতি ঘণ্টায় এটি পাড়ি দিতে পারবে ১০ হাজার কিলোমিটার। বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে মিসাইলটি ফাঁকি দিতে পারবে। এটি শব্দের চেয়ে ১৩ থেকে ১৫ গুণ বেশি গতিতে ছুটতে পারবে।
প্রতিবেদনে গার্ডিয়ান জানিয়েছে, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুটতে পারে শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি গতিতে। এর ফলে ক্ষেপণাস্ত্রটিকে শনাক্ত বা ধ্বংস করা কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। বিশ্বের মোট দেশের শুধুমাত্র চারটিতে এমন ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।
গত নভেম্বরে ইরান জানিয়েছিল, তারা একটি হাইপারসনিক ব্যালেস্টিক মিসাইল তৈরির পথে রয়েছে। এটি বায়ুমণ্ডলের ভেতরে এবং বাইরে কৌশলে চলতে পারবে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমের তথ্য মতে, মিসাইলটি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের আয়রন ডোমসহ অ্যান্টি-ব্যালেস্টিক মিসাইল ব্যবস্থাকে পাস কাটিয়ে যেতে পারবে।
ফাত্তাহ উন্মোচনের অনুষ্ঠানে রাইসি বলেন, ‘এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় এটি কাজে দেবে। বিদেশি আগ্রাসন থেকে এই অঞ্চলকে রক্ষা করবে। যারা ইরানে হামলার কথা ভাবছে তাদের কাছে তাদের কাছে একটি বার্তা পৌঁছে দিতে চাই, ইসলামী প্রজাতন্ত্র একটি শক্তিশালী দেশ।’
ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের মহাকাশ বাহিনীর কমান্ডার আমির আলী হাজিজাদেহ ফাত্তাহকে বিশ্বের অনন্য একটি মিসাইল বলে অভিহিত করেছেন। তবে, মিসাইলটির কোনো প্রকৃত উৎক্ষেপণের বর্ণনা দেননি তিনি। পরে হাজিজাদেহ বলেন, ‘মিসাইলটির ইঞ্জিনের একটি স্থল পরীক্ষা হয়েছে, যার মধ্যে একটি রকেট মোটর স্ট্যান্ডে রাখা হয়েছিল।’