রাশিয়ার বিরুদ্ধে বড় সাফল্যের দাবি ইউক্রেনের
রাশিয়ার কাছ থেকে বেশ কিছু এলাকা পুনরুদ্ধার করা গেছে বলে দাবি করেছে কিয়েভ। সোমবার (১২ জুন) ইউক্রেনের ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার টেলিগ্রামে এক বার্তায় বলেন, ‘ফের স্টোরোঝেভে গ্রামে ইউক্রেনের পতাকা উড়ছে। এ এক বিরাট সাফল্য।’
শুধু স্টোরোঝেভে নয়, দনেৎস্ক অঞ্চলের একাধিক গ্রামে ইউক্রেনের সেনা জাতীয় পতাকা তুলে দিচ্ছে, এমন ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এমন বেশ কিছু ছবি ঘুরছে। তবে এসবের সত্যতা এখনও পরীক্ষা করে দেখা সম্ভব হয়নি। রাশিয়ার সামরিক ব্লগাররা অবশ্য জানান, দনেৎস্ক অঞ্চলের ব্লাহোদাতনে এবং নেসকুচনে গ্রাম ইউক্রেন দখল করলেও মাকারিভকায় এখনও লড়াই চলছে। রাশিয়ার সেনা সেখানে এখনও মজুত আছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ইউক্রেন একের পর এক আক্রমণ চালিয়েছে। তবে, রাশিয়ার সেনা সেগুলো ব্যর্থ করে দিয়েছে।’ কিছুদিন আগে ইউক্রেন দাবি করেছিল, ওই অঞ্চল তারা পুনর্দখল করেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গত শনিবার (১০ জুন) জানিয়েছিলেন, কিয়েভ এবার জমি পুনর্দখলের লড়াইয়ে নেমেছে। তারপর থেকেই ইউক্রেনের প্রশাসনের পক্ষ থেকে একের পর এক এলাকা পুনর্দখলে দাবি করা হচ্ছে।
এদিকে, বাখমুত অঞ্চলেও নতুন করে লড়াই শুরু হয়েছে। ইউক্রেনের দাবি, বাখমুতে রাশিয়ার বিপুল সৈন্য নিহত হয়েছে। তবে এ দাবিরও সত্যতা জানা যায়নি।
অন্যদিকে, পশ্চিমা দেশগুলো ফের জানিয়েছে, ইউক্রেনকে সব ধরনের আর্থিক এবং সামরিক সহায়তা করা হবে। যতদিন যুদ্ধ চলবে, ততদিন সাহায্য করা হবে বলে জানানো হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘ইউক্রেন যেভাবে পাল্টা আঘাত শুরু করেছে, তাতে অচিরেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আলোচনায় বসতে বাধ্য হবেন। পুতিনকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’