সমুদ্রের নিচ থেকে আসা শব্দ কি টাইটানের?
সমুদ্রতল থেকে নতুন শব্দ পাচ্ছিলেন উদ্ধারকারীরা। ভেবেছিলেন, টাইটান সাবমেরিন থেকে ওই শব্দ আসছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওই শব্দ টাইটানের না-ও হতে পারে।
মার্কিন নৌবাহিনীর সাবেক কমান্ডার ডেভিড মারকুয়েট বলেন, ‘নিঃসন্দেহে কিছু শব্দ পাওয়া গেছে। কিন্তু, তা টাইটানের না-ও হতে পারে। সেটা স্বাভাবিক শব্দও হতে পারে। তাছাড়া প্রচুর জাহাজ এই অঞ্চলে আসছে। তাই আরও শব্দ পাওয়া যেতে পারে।’
ডেভিড মারকুয়েট সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেন, ‘টাইটানে যারা রয়েছেন, তাদের বাঁচার সম্ভাবনা কম। তবে আশার কথা হলো, টাইটানকে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্র চলে আসছে। টাইটান কোথায় আছে, তার খোঁজ পেলে পাঁচজনকে বাঁচানো সম্ভব।’
আগেই জানানো হয়েছিল, মোট ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন নিয়ে টাইটান রওনা হয়েছিল। সেইমতো বৃহস্পতিবার (২২ জুন) অক্সিজেন শেষ হয়ে যাবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর সাবেক ডাইভার বলেন, ‘৯৬ ঘণ্টার পরেও বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন পেতে পারেন টাইটানে থাকা পাঁচজন।’ তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব তাড়াতাড়ি উদ্ধার করতে না পারলে, তাদের বেঁচে থাকা কঠিন হবে।
মার্কিন কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে ক্যাপ্টেন জেমি ফ্রেডরিখ বলেন, ‘বুধবার যে শব্দ পাওয়া গেছে তা, কোনো কিছুতে ধাক্কা মারার শব্দ। তবে সেটা যে টাইটান থেকে আসছে, তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।’
জেমি ফ্রেডরিখ বলেন, ‘আমরা এখনও জানি না, ওটা ঠিক কীসের শব্দ। তবে মানুষ যেন আশা না হারান। উদ্ধারকারীরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের আশা রাখতে হবে।’
কানাডার একটি বিমান আধঘণ্টা পরপর কয়েকবার ওই শব্দ শোনে। পরে যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু, যন্ত্র কোনো শব্দ পায়নি।
২০২১ সালে টাইটানে সফর করেছিলেন জার্মান শিল্পপতি আর্থার। তিনি বলেন, ‘ওই সময়ও সাবমেরিন ডুব দেওয়ার পর ব্যাটারি চার্জ হচ্ছিল না। একটা পাইপ খুলে পড়ে গিয়েছিল। পরে তা প্লাস্টিক হোল্ডার দিয়ে লাগানো হয়। ওই সফর ছিল খুবই বিপজ্জনক।’