পশ্চিম তীরের জেনিন ক্যাম্পে ইসরায়েলি হামলা
অধিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের জেনিন ক্যাম্পে ব্যাপক সামরিক অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। আজ সোমবার (৩ জুলাই) একাধিক ড্রোন হামলার মাধ্যমে অভিযানটি শুরু করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে একটি আবাসিক ব্লক (এলাকা) থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, অভিযানে এ পর্যন্ত অন্তত তিনজন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২০ জনের বেশি আহত হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, তারা ‘জেনিন এলাকায় সন্ত্রাসী অবকাঠামোতে’ হামলা চালিয়েছে।
আইডিএফের বিবৃতিতে বলা হয়, সন্ত্রাসীরা জেনিন ক্যাম্প গোপন আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করে বেসামরিক লোকদের ক্ষতি করলে আমরা অলস হবসে থাকব না। ক্যাম্পটি ‘সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি’ ছিল।
ফিলিস্তিনি ফাতাহ, হামাস ও ইসলামিক জিহাদের সশস্ত্র সদস্যদের গ্রুপ জেনিন ব্যাটালিয়নের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমাদের শেষ নিঃশ্বাস ও বুলেট পর্যন্ত আমরা দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করব এবং আমরা সব দল ও ইউনিট একত্রিত হয়ে কাজ করব।’
জেনিন শিবিরের গলিতে কয়েক ডজন সশস্ত্র, মুখোশধারী ফিলিস্তিনি মোতায়েন করা হয়। ক্যাম্পের বাসিন্দা আহমেদ জাকি বলেন, ‘ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গাড়ির বহর বেশ কয়েকটি রাস্তা দিয়ে ক্যাম্পের উপকণ্ঠে প্রবেশ করেছে।’
ফিলিস্তিনি অ্যাম্বুলেন্স চালক খালেদ আলাহমাদ বলেন, ‘শরণার্থী শিবিরে যা চলছে, তা আসলে যুদ্ধ।’
খালেদ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে আরও বলেন, ‘আকাশ থেকে ক্যাম্প লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। প্রতিবার হামলার পর আমরা প্রায় পাঁচ থেকে সাতটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে যাই এবং আহত লোকদের ভরে ফিরে আসি।’
গত মাসে জেনিন ক্যাম্পে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অভিযানের সময় কমপক্ষে ছয় ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিল। তখন কয়েক বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো পশ্চিম তীরে চালানো হামলায় হেলিকপ্টার ব্যবহার করে ইসরায়েল। ওই সময় সাতজন ইসরায়েলি সেনা ও সীমান্ত পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন।