আরও দাবদাহ আসছে, বিশ্বকে প্রস্তুত থাকার পরামর্শ জাতিসংঘের
জলবায়ু পরিবর্তনে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ছে। গরমে পুড়ছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউরোপ হয়ে জাপান। বিশ্বের এক অংশে তীব্র দাবদাহ থাকলেও অন্যদিকে অতিবৃষ্টিতে বন্যা হচ্ছে। সামনের দিনে আরও দাবদাহ আসতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। পাশাপাশি বিশ্বকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে সংস্থাটি থেকে। আজ মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) জাতিসংঘ থেকে এ সতর্কবার্তা ও আহ্বান দেওয়া হয়। খবর এএফপির।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) উষ্ণতা বিষয়ক জ্যৈষ্ঠ পরামর্শক জন নাইরন বলেন, ‘তীব্রতার সঙ্গে সঙ্গে দাবদাহের ঘটনাগুলো বাড়তে থাকবে। দাবদাহের জন্য বিশ্বকে প্রস্তুত করতে হবে।’
প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানায়, উত্তর গোলার্ধের দেশগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে। চলমান দাবদাহের জন্য আজও প্রস্তুত রয়েছে উত্তর গোলার্ধ ও ইউরোপের দেশগুলো। ইউরোপে রেকর্ড তাপমাত্রা আজ রেকর্ড করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঠিক এরপরেই জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ থেকে এই মন্তব্য এলো।
এদিকে, তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়ার দেশগুলোর স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সতর্কতা জারি করেছে। হাইড্রেড থাকতে ও সূর্যের তাপ থেকে রক্ষা পেতে বাড়ি বা নিরাপদ স্থানে থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নাইরন বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক দাবদাহ। প্রতি বছর তাপ সম্পর্কিত কারণে কয়েক হাজার মানুষ মারা যায়।’
প্রতিবেদনে এএফপি জানিয়েছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ায় মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। ক্রমবর্ধমান নগরায়ন, তাপমাত্রার চরম বৃদ্ধি এবং বয়স্ক জনসংখ্যার দেশগুলোতে অবকাঠামোগত পরিবর্তনের কারণে মানুষ ঝুঁকিতে আছে। নাইরন বলেন, ‘১৯৮০ এর পর থেকে উত্তর গোলার্ধে টানা ও একযোগে দাবদাহের সংখ্যা ছয়গুণ বেড়েছে। এই সংখ্যা কমার কোনো লক্ষণ নেই।’
বিশ্বে যতগুলো মহাদেশ রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততম উষ্ণায়ন মহাদেশ ইউরোপ। দাবদাহ মোকাবিলায় আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছিল এই অঞ্চলের দেশগুলো। ইউরোপিয়ান মহাকাশ সংস্থার তথ্য মতে, ইতালির সিকিলি ও সারদিনিয়া দ্বীপে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১১৮ ফারেনহাইট তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
ডব্লিউএমওর তথ্য মতে, ইউরোপে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২০২১ সালে। সিলিকি দ্বীপে ওই সময় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৮ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস।