যুক্তরাষ্ট্রের ডুবোজাহাজ মোতায়েনের জবাবে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকি
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন ডুবোজাহাজের পরিদর্শনের প্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন যে, আইন অনুসারে তারা এর জবাব পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে দিতে পারে। খবর এএফপির।
দুই কোরিয়ার সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়ে একেবারে তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে, কূটনৈতিক অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে দুই দেশের মধ্যে। অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন অস্ত্রশস্ত্রের মজুদ বাড়ানোর ডাক দিয়েছেন, বিশেষ করে পারমাণবিক অস্ত্রের।
এর জবাব দিতে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া তাদের সামরিক শক্তি প্রদর্শনের উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ১৯৮১ সালের পর মার্কিন পারমাণবিক সক্ষমতাসম্পন্ন ডুবোজাহাজ দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দরে নোঙর করে।
উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাং সুন নাম বলেছেন, বুসান বন্দরে মার্কিন ওহিও শ্রেণির ডুবোজাহাজের আগমন এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে, যার কারণে তাদের পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করতে হতে পারে। তিনি জানান, এ বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার নিজস্ব আইনেই পারমাণবিক নীতির প্রশ্নে তা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।
গত বছর উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক আইন প্রণয়ন করে যাতে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটের নজীর টেনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। আইনে কোনো রকম হুমকির মুখে পড়লে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের গ্রহণযোগ্যতা দেওয়া হয়।
প্রতিরক্ষমন্ত্রী কাং জানান, মার্কিন ডুবোজাহাজের উপস্থিতি সরাসরি উত্তর কোরিয়ার জন্য একটি সামরিক হুমকি। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর বোঝা উচিত এই কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র খুবই বিপদজনক জলসীমায় প্রবেশ করেছে।’ দেশটির বার্তা সংস্থা কেসিএনএ এই বিবৃতিটি প্রকাশ করে।
এদিকে গতকাল বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়োল বুসান বন্দরে ওই ডুবোজাহাজটি পরিদর্শন করেন। তিনি এ সময় পিয়ংইয়ংয়ের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এটা ওই দেশটির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর মরণ ঘনিয়ে আনবে।’
ওহিও শ্রেণির ডুবোজাহাজ ২০টি ট্রাইডেন্ট-২ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে। তবে মার্কিন নৌবাহিনী নিশ্চিত করে জানায়নি যে ওই ডুবোজাহাজটি সাগরে ভাসার পর পারমাণবিক অস্ত্র বহন করছে কিনা।
গত এপ্রিলে ওয়াশিংটন প্রথমবারের মতো ঘোষণা দেয় যে, তারা কোরীয় উপদ্বীপে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে এমন ডুবোজাহাজ মোতায়েন করবে। ওই সময় দক্ষিণ কোরিয়ার নেতা ইয়ুন যুক্তরাষ্ট্র সফরে ছিলেন।