স্পেনে বেশি ভোট ও আসন পেল রক্ষণশীলরা
স্পেনের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন সমাজবাদীদের থেকে বেশি ভোট পেল রক্ষণশীল পপুলার পার্টি। স্পেনের নির্বাচনে কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল না। প্রধানমন্ত্রী পেড্রো স্যাঞ্চেজের সোশ্যালিস্ট ওয়ার্কার্স পার্টি (পিএসওজেড) ৩১ দশমিক সাত শতাংশ ভোট পেয়েছে। আর দক্ষিণপন্থি রক্ষণশীল পপুলার পার্টি (পিপি) পেয়েছে ৩৩ দশমিক এক শতাংশ ভোট।
আসনের হিসেবে ৩৫০ সদস্যের নিম্নকক্ষে পিপি পেতে চলেছে ১৩৬টি এবং পিএসওজেড ১২২টি আসন। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ১৭৬টি আসন। এই অবস্থায় যারাই ক্ষমতায় আসবে, তাদের ছোট দলের সঙ্গে জোট করতে হবে। ইতোমধ্যেই অতি দক্ষিণপন্থি ভিওএক্স জানিয়ে দিয়েছে, তারা পিপি-র সঙ্গে জোট বাঁধতে তৈরি। তাদের কাছে ৩৩টি আসন আছে। তারপরেও সাতটি আসন কম পড়ছে।
যদি অতি দক্ষিণপন্থি ও তৃতীয় কোনো দলের সঙ্গে জোট বেঁধে পিপি সরকার গঠন করে, তাহলে ১৯৭০ সালের পর আবার অতি-দক্ষিণপন্থিরা সরকারের অংশ হবেন। সমাজবাদীদের সমর্থন করছিল ১৫টি বামপন্থি দলের জোট। তারা ৩১টি আসন পেয়েছে। ফলে সমাজবাদী ও বামপন্থি মিলিয়ে ১৫৩টি আসন হচ্ছে।
ছোট দলগুলো মূলত আঞ্চলিক পার্টি। এর আগে দুটি ক্যাটালান স্বাধীনতাপন্থি দল প্রধানমন্ত্রী স্যাঞ্চেজকে সমর্থন জানিয়েছিল। তাদের এবার শক্তি আগের তুলনায় কমেছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা কিংমেকারের ভূমিকা নিতে পারে। স্যাঞ্চেজ আবার প্রধানমন্ত্রী হতে চাইলে তাদের সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী স্যাঞ্চেজ এবং পিপি-র নেতা দুজনেরই দাবি তারা জিতেছেন। পিপি নেতা ফেইকো বলেছেন, ‘যে দল সবচেয়ে বেশি আসন জিতেছে, তাদের নেতা হিসাবে আমার সরকার গঠনের চেষ্টা করা উচিত বলে আমি মনে করি।’
দলের সদরদপ্তরে এসে স্যাঞ্চেজ বলেছেন, তারাই জিতেছেন। কারণ, গতবারের তুলনায় তার দল বেশি ভোট ও আসনে জিতেছে। দক্ষিণপন্থিরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তারা গত চার বছর ধরে সব প্রগতিশীল কর্মসূচির বিরোধিতা করেছে।
এই ভোট হওয়ার কথা ছিল ডিসেম্বরে। কিন্তু স্যাঞ্চেজ তা এগিয়ে এনেছিলেন। কারণ, পুরো নির্বাচনে বামপন্থিরা শোচনীয় ফল করেছিল। এভাবে তিনি বিরোধীদেরও বিপাকে ফেলতে চেয়েছিলেন।