আরও এক ওষুধ কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করল ভারত
গত এপ্রিলে ওশেনিয়ার মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ ও মাইক্রোনেশিয়ায় ভারতে তৈরি কাশির সিরাপে বিষাক্ত পদার্থ পায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এর জেরে এবার সেই ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করেছে ভারত সরকার। দেশটির সরকার আজ মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বিষয়টি পার্লামেন্টে জানিয়েছে। খবর ইকোনোমিক টাইমসের।
প্রতিবেদনে ভারতীয় গণমাধ্যমটি জানায়, নতুন করে লাইসেন্স বাতিল হওয়া কোম্পানিটি হলো, পাঞ্জাবভিত্তিক কিউপি ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
গত বছর ভারতে প্রস্তুতকৃত কাশির সিরাপে উজবেকিস্তান ও গাম্বিয়ায় ৮৯ শিশুর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে নড়েছড়ে বসে দেশটির ক্ষমতাসীন সরকার। এরপরই ওষুধ কোম্পানিগুলো পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্টরা। মৃত্যুর ঘটনায় ওষুধ শিল্পে ভারতের নাম ক্ষুণ্ন হয়। কারণ ‘ফার্মেসি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ হিসেবে পরিচিতি ছিল দেশটির।
কিউপি ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের কাশির সিরাপ পরীক্ষা করে মাত্রাতিরিক্ত ডাইথাইলিন গ্লাইকোল এবং ইথিলিন গ্লাইকোল পায় ডব্লিউএইচও। এ দুটি পদার্থই মানবশরীরে গেলে বিষক্রিয়া হতে পারে। এতে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে। তবে, অন্যায়ের কথা অস্বীকার করে আসছে পাঞ্জাবভিত্তিক কোম্পানিটি।
আজ পার্লামেন্টে ভারতের স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী বারাতি পারভিন পাওয়ার বলেন, ‘পরীক্ষার জন্য যে নমুনা নেওয়া হয়েছে তা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গণ থেকেই নেওয়া হয়েছে। পরে, ডব্লিউএইচও নমুনা পরীক্ষা করে ক্ষতিকর পদার্থ পায়।’ বারাতি পারভিন পাওয়ার আরও বলেন, ‘কিউপি ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ছাড়াও শিশু মৃত্যুর জেরে আরও দুটি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল এবং তাদের ওষুধ রপ্তানি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।’
প্রতিবেদনে ইকোনোমিক টাইমস জানিয়েছে, লাইসেন্স বাতিল ও রপ্তানি স্থগিত করা ওই দুটি ওষুধ কোম্পানি হলো, মাইডেন ফার্মাসিউটিক্যালস ও ম্যারিয়ন বায়োটেক প্রাইভেট লিমিটেড। তবে, এই দুই কোম্পানিও কোনো অন্যায় করেনি বলে জানিয়ে আসছে। গণমাধ্যম রয়টার্সও এমন সব তথ্য জানায়।
দেশের বাইরে রপ্তানির আগে কাসির সিরাপের ল্যাবে পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে ভারত, যা গত জুন থেকে কার্যকর হয়েছে। রপ্তানির আগে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর থেকে সার্টিফিকেট নিতে হয়।