অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে আটকে পড়া ৫০ তিমির মৃত্যু
অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ১০০টি তিমি সমুদ্র সৈকতে চলে আসে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই)। ওয়েস্টার্ন অ্যালবানির পূর্বের চেনেস সমুদ্র সৈকতের দীর্ঘ এলাকাজুড়ে এক সারিতে অবস্থান নেয় তারা৷ প্রাণরক্ষার জন্য তাদের সাগরে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। তবে, ৫০টি তিমি ইতোমধ্যে মারা গেছে।
বিশেষ কোনো কারণ ছাড়া তিমি কখনো তীরে আসে না৷ স্বাভাবিক অবস্থায় সলিলসমাধিই হয় তাদের৷ সাগরের জলরাশি ছেড়ে তিমির তীরে এসে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকা মানে অবধারিত মৃত্যু৷
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রায় ১০০টি তিমি নানান চাপে কাহিল বা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল৷ দল বেঁধে তীরে এসে আটকে পড়ে তারা৷ শত চেষ্টাতেও সাগরে ফেরানো যাচ্ছে না তাদের৷ ৫০টি তিমি ইতোমধ্যে মারা গেলেও বাকিদের সাগরে ফেরাতে চেষ্টা করা হচ্ছে৷
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া রাজ্যের ডিপার্টমেন্ট অব বায়োডাইভার্সিটি, কনজার্ভেশন অ্যান্ড অ্যাট্রাকশনের কর্মীরা মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দিনগত রাতেই সৈকতে তাঁবু খাটিয়ে তিমিদের রক্ষার চেষ্টা শুরু করেন৷ তাদের সঙ্গে যোগ দেন পার্থ চিড়িয়াখানার সামুদ্রিক প্রাণী বিশেষজ্ঞরা৷ তিমি-রক্ষার বিশেষ দলকে সহায়তা করতে শত শত স্থানীয় মানুষও এসেছেন৷ ফলে সমুদ্র সৈকতে দেখা দেয় বিশাল জনসমুদ্র৷ ভিড় কমানোর জন্য স্থানীয়দের ওই এলাকা থেকে একটু দূরে যাওয়ার অনুরোধ জানাতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ৷
তবে, এত মানুষের চেষ্টাতেও তিমিদের সাগরে ফেরানো যাচ্ছে না৷ ৫০টি তিমি ইতোমধ্যে ডাঙায় এসে মারা গেছে৷ বাকিদের প্রাণরক্ষার একমাত্র উপায় তাদের সাগরে ফেরানো৷ পশুচিকিৎসক এবং সামুদ্রিক প্রাণি বিশেষজ্ঞদের দল সেই চেষ্টাই করছেন। কিন্তু, তাদের কোনো চেষ্টাতেই তিমিরা এখনও সাড়া দেয়নি৷
অস্ট্রেলিয়ায় এর আগেও সাগর থেকে তিমিরা দল বেঁধে ডাঙায় চলে এসেছে৷ নিউজিল্যান্ডেও তিমিদের মাঝে এমন প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়৷ ২০২২ সালের অক্টোবরে প্রায় ৫০০ তিমি নিউজিল্যান্ডের চ্যাথাম দ্বীপের সৈকতে চলে এসেছিল৷
সাম্প্রতিক সময়ে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বাইরেও তিমিদের মাঝে এমন প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে৷ গত সপ্তাহে ৫৫টি তিমি স্কটল্যান্ডের আউটার হেব্রিডসের প্রত্যন্ত দ্বীপ আইল অব লুইসে চলে এসেছিল৷ পরে ঢেউ এসে তাদের সাগরে ভাসিয়ে নিয়ে যায়৷