আফ্রিকান প্রস্তাব ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর ভিত্তি হতে পারে : পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, আফ্রিকার নেতাদের উপস্থাপিত একটি উদ্যোগ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে মস্কোর যুদ্ধ শান্তির ভিত্তি হতে পারে। তবে, কিয়েভ থেকে চালানো আক্রমণে শত্রুতা বন্ধ করা ‘কার্যত অসম্ভব’। খবর আলজাজিরার।
শনিবার (২৯ জুলাই) সেন্ট পিটার্সবার্গে আফ্রিকার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর রাশিয়ার নেতা মস্কোতে এ মন্তব্য করেন।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, আফ্রিকার নেতাদের প্রস্তাবে সংঘাত নিরসনের জন্য সম্ভাব্য একগুচ্ছ পদক্ষেপ তুলে ধরা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে রুশ সৈন্য প্রত্যাহার, বেলারুশ থেকে রাশিয়ার কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র অপসারণ, পুতিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা স্থগিত করা এবং নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া। প্রস্তাবের বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি।
পুতিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির মতো পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা কার্যত অসম্ভব। কারণ, ইউক্রেন অগ্রসর হচ্ছে, তারা কৌশলগত আক্রমণে রয়েছে। তারা যখন আমাদের দিকে অগ্রসর হচ্ছে তখন আমরা কীভাবে আমাদের ধরে রাখব?’
পুতিন বলেন, ‘এটি কেবল দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগ হতে পারে। কিন্তু আমার মতে, (আফ্রিকান) উদ্যোগ শান্তিপূর্ণ সমাধানের কিছু প্রক্রিয়ার ভিত্তি হয়ে উঠতে পারে। ঠিক চীনের উদ্যোগের মতো। এখানে কোনো প্রতিযোগিতা বা দ্বন্দ্ব নেই।’
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এখন যুদ্ধবিরতির বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, শান্তি আলোচনার জন্য মস্কোকে অধিকৃত ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড থেকে তাদের বাহিনীকে প্রত্যাহার করতে হবে। তবে রাশিয়া বলেছে, এমন কিছু আলোচনাযোগ্য নয়।
শান্তি আলোচনার বিষয়ে পুতিন বলেন, ‘আমরা তাদের প্রত্যাখ্যান করিনি। তবে, এই প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য উভয় পক্ষের মধ্যে চুক্তি হওয়া দরকার।’
আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে গুঞ্জনের মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আগামী মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে একটি অর্থনৈতিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার বিষয়েও কথা বলেছেন।
পুতিন বলেন, তিনি ব্রিকস জোটের সব সহকর্মীদের জানিয়েছেন—‘ব্রিকস সম্মেলনে আমার উপস্থিতি এই সময়ে আমার রাশিয়ায় উপস্থিতির চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয় না।’
তবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সম্মেলনে অংশ নেবেন বলেও জানান রুশ প্রেসিডেন্ট। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ২২ থেকে ২৪ আগস্টের ওই সম্মেলনে অংশ নেবেন, যেখানে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার নেতারা মিলিত হবেন।