মক্কায় পবিত্র কাবাঘর ধোয়ার কর্মসূচি সম্পন্ন
দীর্ঘদিনের রীতি অনুযায়ী এ বছরও ১৫ মহরম পবিত্র কাবাঘর ধোয়ার কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। তবে, মহররম মাস ছাড়াও বছরের বিভিন্ন সময় কাবাঘর ধৌতকরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে। আজ বুধবার (২ আগস্ট) স্থানীয় সময় ফজর নামাজের পর কাবাঘরের ভেতরের অংশে ধোয়া-মোছা করা হয়।
কাবাঘর পরিষ্কার করতে জমজমের পানি, খাঁটি গোলাপ জল এবং উন্নত মানের সুগন্ধি উদ ও কস্তুরি ব্যবহার করা হয়। কাবাঘর ধোয়ার জন্য ভেতরে প্রবেশের আগে বা পরে একবার নফল তাওয়াফ এবং দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে হয়।
সাধারণত কাবা শরিফ পরিষ্কার করতে গোলাপের সুগন্ধিযুক্ত জমজমের পানি মেঝেতে ঢালা হয়, তারপর খালি হাতে খেজুরপাতা দিয়ে পরিষ্কার করা হয়। এরপর মেঝে ও দেয়াল মসৃণ সাদা কাপড় ও উন্নত মানের টিস্যু দিয়ে মোছা হয়। কাবা শরিফ ধোয়ার সময় প্রায় দুই ঘণ্টা দরজা খোলা রাখা হয়।
মূলত প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর অনুসরণে পবিত্র কাবা শরিফ ধোয়ার মহৎ কাজটি অন্যতম উৎসব হিসেবে পালন হয় করা হয়।
৬৩০ সালে যখন রাসুল (সা.) এর নেতৃত্বে মুসলমানরা মক্কা বিজয় করেছিল, তখন তিনি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পবিত্র কাবাঘর ধৌত করেছিলেন। বছরের বিভিন্ন সময়ে কাবা শরিফ ধোয়া হলেও এতে নতুন গিলাফ জড়ানো হয় মহররম মাসের শুরুতে।
মক্কা-মদিনার দুই পবিত্র মসজিদের কাস্টোডিয়ানের পক্ষে বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ও মক্কা অঞ্চলের ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স বদর বিন সুলতান আজ বুধবার পবিত্র কাবা শরিফ ধোয়ার অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দেন। বেশ কয়েকজন রাজপুত্র, সরকারি কর্মকর্তা ও সাধারণ মুসল্লিরাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
এ সময় পবিত্র মসজিদুল হারামের (কাবার) ইমাম শায়খ আব্দুর রহমান আল সুদাইস, ধর্মীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, বিশেষ বাহিনীর প্রধান ও হজ নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডারসহ অন্যান্য নিরাপত্তারক্ষীরা উপস্থিত ছিলেন।