ইতালি-ফ্রান্স সীমান্তে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সঙ্গে সহিংসতা ও অমানবিক আচরণ করছে ফ্রান্স। পরিকল্পিতভাবে তাদের ইতালির সীমান্তের দিকে পাঠাচ্ছে ইউরোপের শক্তিধর দেশটি। আজ শুক্রবার (৪ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার (এমএসএফ)। খবর এএফপির।
ইতালির শহর ভেনটিমিগিলার সীমান্তে থাকা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সঙ্গে গত ফেব্রুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে কথা হয় এমএসএফের একটি দলের। ওই সময় ভুক্তভোগীরা জানান, ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ তাদের ওপর বলপ্রয়োগ করছে। আর ইতালি কর্তৃপক্ষ তাদের বিষয়ে উদাসীন।
প্রতিবেদনে এমএসএফ জানিয়েছে, পরিকল্পনা করে যেসব অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সীমান্তে পাঠানো হয়েছে, তাদের সঙ্গে সহিংস, অমানবিক আচরণের পাশাপাশি নির্বিচারে আটকে রাখা হয়। একই অবস্থা সীমান্তের ইতালি অংশেও।
এমএসএফ বলছে, ভেনটিমিগিলা সীমান্ত দিয়ে যেসব অভিবাসনপ্রত্যাশী ফ্রান্সের ভূখণ্ডে ফিরছেন তাদের অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার ব্যবস্থা অপ্রতুল। ওই সীমান্ত এলাকায় জরুরি পরিষেবার জন্য একটি মাত্র কেন্দ্র রয়েছে যেটি ইতালির ভূখণ্ডে অবস্থিত, যা কি না বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রাস্তায় বা পরিত্যক্ত ভবন কিংবা সেতুর নিচে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। এতে করে তাদের জীবন হুমকির মুখে রয়েছে। পাশাপাশি সেখানে বিশুদ্ধ পানি, শৌচাগার, মাথা গোঁজার ঠাই পর্যন্ত নেই। এতে করে তারা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে।
দাতব্য সংস্থাটি প্রতিবেদনে বলছে, দুদেশের সীমান্তে থাকা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জীবন হুমকিতে রয়েছে। সেখানে অবস্থান করা বেশিরভাগই আফ্রিকান। ইউরোপে প্রবেশের জন্য চরম বেদনাদায়ক যাত্রার সম্মুখীন হয়েছিল তারা।
এমএসএফের দলটি সেখানে থাকা যেসব অভিবাসনপ্রত্যাশীদের চিকিৎসা দিয়েছেন তাদের অধিকাংশই ক্যামেরুন, আইভরিকোস্ট ও গিনি থেকে এসেছে। সেখানে থাকার সময় তারা চর্মসহ স্নায়ুরোগের চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রতিবেদনে এএফপি জানিয়েছে, ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে অবৈধভাবে ৯২ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী এসেছে। যা, ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ। এর মধ্যে বহু অভিবাসনপ্রত্যাশী ইতালিকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করছে। কারণ, তারা ফ্রান্স বা উত্তর ইউরোপের দেশগুলোতে যেতে ইচ্ছুক।