আমাজন বাঁচাতে আট দেশের জোট
বিশ্বের সবচেয়ে বড় রেইনফরেস্ট আমাজনকে বাঁচানোর জন্য ব্রাজিলে শীর্ষ সম্মেলনে জোট গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আট দেশের নেতারা। দেশগুলো হলো—বলিভিয়া, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, পেরু, সুরিনাম, ভেনিজুয়েলা ও গায়ানা। সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়ার আগে তারা এখনই ব্যবস্থা নিতে চান।
উন্নত দেশগুলোর কাছেও আবেদন জানিয়েছে এই আট দেশের জোট। তারা বলেছে, ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় রেইনফরেস্ট বাঁচানোর দায় শুধু এই আট দেশের নয়। বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। আজ আমাজনের যে অবস্থা, তার জন্য অনেকে দায়ী।’
এই শীর্ষ বৈঠকের ওপর গোটা বিশ্বের নজর ছিল। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সেই আমাজন কো-অপারেশন ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (এসিটিও) বৈঠকে নতুন ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী যৌথ কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছে।
যৌথ ঘোষণাপত্রে সই করেছেন আট দেশের নেতারা। প্রায় ১০ হাজার শব্দের একটা রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কী করে এই বিশাল বনভূমিকে সংরক্ষণ করা হবে।
পরিবেশবিদদের দাবি ছিল, ২০৩০ সালের মধ্যে আমাজনে বেআইনিভাবে বনভূমি ধ্বংস পুরোপুরি বন্ধ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে একযোগে কাজ করুক দেশগুলো। তবে ঠিক হয়েছে, প্রতিটি দেশ নিজেদের মতো করে এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা শীর্ষ বৈঠকে বলেন, ‘এর আগে আমাজন বাঁচানোর বিষয়টি এতটা জরুরি ছিল না। গত জুলাই ছিল বিশ্বের উষ্ণতম মাস। এখন আমাদের একসঙ্গে কাজ করতেই হবে। তা না হলে আমরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাব।’
ক্লাইমেট অবজারভেটরির পরিবেশবিদ মার্সিও অ্যাসট্রিনি বলেন, ‘বিশ্বে বরফ গলে যাচ্ছে। প্রতিদিন গরমের নতুন রেকর্ড হচ্ছে। এই অবস্থায় একচুল বনভূমি কাটা যাবে না, এই সিদ্ধান্তে আসাটা খুবই জরুরি ছিল।’
তাছাড়া রোডম্যাপে কবে বেআইনি সোনার খনি পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে, তা-ও বলা হয়নি।
এসিটিওর শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেন ইকুয়েডরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গুস্তাভো মানরিক, গায়ানার প্রধানমন্ত্রী মার্ক ফিলিপস, কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা, বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট লুইস আর্স, পেরুর প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্ট, ভেনেজুয়েলার ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেলসি রদ্রিগেজ ও সুরিনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলবার্ট রামদিন।