পাকিস্তানে ভেঙে দেওয়া হলো জাতীয় পরিষদ, নির্বাচন কবে?
প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশে ও নির্বাচনের পথ প্রশস্থ করতে পাকিস্তানে জেনারেল অ্যাসেম্বলি বা জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের প্রস্তাব মেনে নিয়ে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন। এমনিতেই এ পরিষদের মেয়াদ ১২ অগাস্ট শেষ হয়ে যেত।
প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি এরপর প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফকে বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান কে হবেন, তার নাম যেন তিনদিনের মধ্যে সুপারিশ করেন শরীফ।
সরকার যখন জাতীয় পরিষদ ভেঙে দিল, তখন প্রধান বিরোধী নেতা ইমরান খান জেলে বন্দি। তিনি মুক্তির জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছেন। তাকে তিন বছরের জন্য কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই সাজা বহাল থাকলে তিনি ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না।
নির্বাচন কবে হবে?
নিয়মানুযায়ী জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে এই নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ, নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, তারা নির্বাচনকেন্দ্রের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করতে চায়। সেটা করতে গেলে খুব কম করে হলেও এক মাস সময় লাগবে। সেক্ষেত্রে আগামী বছর ভোট হলেও আশ্চর্যের কিছু নেই।
তাছাড়া পাকিস্তানে দ্বিতীয় একটি কারণের কথা রাজনৈতিক মহলে ঘুরছে। সেটা হলো—বর্তমান জোট সরকারের জনপ্রিয়তার রেখচিত্র নিচের দিকে। ইমরান খানের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। ফলে এখন নির্বাচন হলে জোটের মুখ থুবড়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে। সেজন্যই শাহবাজ শরীফদের কিছুটা সময় দরকার। তাই জাতীয় নির্বাচন তিন মাসের মধ্যে না-ও হতে পারে।
ইমরানের কী অবস্থা?
ইমরান এখন জেলে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় সরকারি উপহার অনেক কম দামে তিনি ও তার পরিবার কিনেছে। সেই অপরাধে আদালত তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। ইমরান খান রায়ের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। হাইকোর্ট সরকারের কাছে নোটিশ পাঠিয়েছে। তারা সরকার ও নির্বাচন কমিষনের বক্তব্য শুনে রায় দেবে।
এই শাস্তি যদি বহাল থাকে, তাহলে ইমরান খান পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না এবং কোনো সরকারি পদে থাকতে পারবেন না।