মিয়ানমার ছাড়তে গিয়ে গ্রেপ্তার আরও দেড়শ রোহিঙ্গা
মিয়ানমার থেকে পালাতে গিয়ে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে গ্রেপ্তার হয়েছে প্রায় ১৫০ রোহিঙ্গা। আজ মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) এক কর্মকর্তা ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
প্রতিবেদনে সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, মিয়ানমারে বিভিন্ন বৈষম্য ও নিষেধাজ্ঞার শিকার হন রোহিঙ্গা মুসলমানরা। বৌদ্ধ অধ্যুষিত মিয়ানমারে মুসলিম রোহিঙ্গার সংখ্যালঘু হিসেবে চিহ্নিত। এখনও তদের নাগরিকত্ব দেয়নি সেদেশের সরকার। এমনকি, ভ্রমণের জন্য তাদের কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমতি নিতে হয়।
২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের নির্যাতন ও গণহত্যা চালায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এর জেরে অধিকাংশ মুসলমান রোহিঙ্গা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। এ ছাড়া কিছু রোহিঙ্গা ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমায়।
এএফপি বলছে, দেশ থেকে পালাতে গিয়ে যেসব রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার মধ্যে ১২৭ জন পুরুষ ও ১৮ জন নারী রয়েছে। গত শুক্রবার মিয়ানমারের মন প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চলের গ্রাম ওয়েকহামি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মন প্রদেশের প্রশাসন পরিষদ কাউন্সিলের মুখপাত্র অং মিয়েত কিউ সেন এএফপিকে বলেন, ‘শুক্রবার ওয়েকহামি গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়। অভিবাসন আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।’
২০১৭ সালের ঘটনায় জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতে গণহত্যা অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছে মিয়ানমার। ওই গণহত্যার জেরে বাংলাদেশে পালিয়ে যায় লাখ লাখ রোহিঙ্গা।
প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, সংখ্যালঘু মুসলমান রোহিঙ্গারা প্রায়শ মিয়ানমার থেকে পালানোর চেষ্টা করেন। গত সপ্তাহে মালয়েশিয়ায় পালাতে গিয়ে মিয়ানমার উপকূলে নৌকাডুবিতে ১৭ রোহিঙ্গা প্রাণ হারান। ওই নৌকাতে প্রায় ৫০ জন ছিল বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশে অবস্থান করা রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চলছে। তবে, গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের একজন জ্যৈষ্ঠ দূত বলেছিলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিরাপদ নয়।