বর্ণবাদের কারণে পালিয়ে এসেছে মার্কিন সৈন্য : উত্তর কোরিয়া
গত জুলাইয়ে ট্র্যাভিস কিং নামে এক মার্কিন সৈন্য উত্তর কোরিয়ায় ঢোকেন বলে জানা যায়। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তিনিই প্রথম কোনো মার্কিন সৈন্য উত্তর কোরিয়ায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।
কিম জং উনের প্রশাসন জানায়, ওই সেনাকে লাগাতার জেরা করা হচ্ছে। তার কাছ থেকে যে জবানবন্দি মিলেছে, তা-ও সংবাদমাধ্যমের কাছে দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, ট্র্যাভিস উত্তর কোরিয়ায় থাকতে চান। যুক্তরাষ্ট্র তার পছন্দ নয়। উত্তর কোরিয়ার প্রশাসনকে তিনি জানিয়েছেন, বর্ণবাদ ও বৈষম্যের দেশ যুক্তরাষ্ট্র। তার মতো কৃষ্ণবর্ণের মানুষকে এখনও দেশটিতে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে বাঁচতে হয়। এ কারণেই আর দেশে ফিরে যেতে চান না ট্র্যাভিস কিং। তিনি উত্তর কোরিয়ায় থাকতে চান।
এর আগেও দক্ষিণ কোরিয়ায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ট্র্যাভিস। একটি পাবে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। এরপর পুলিশের সঙ্গে লড়াই হয় তার। দক্ষিণ কোরিয়ায় হাজতবাস শেষ করে তিনি বিমানবন্দরে যান। সেখানে তার টেক্সাসের ফ্লাইট ছিল। যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর পর তার সেনাবাহিনীর আদালতে বিচার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, টেক্সাসের ফ্লাইট না ধরে একটি প্রাইভেট ট্যুরে যোগ দেন তিনি। তাদের সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যবর্তী ডিমিলিটারাইজড জোনে ঢুকে পড়েন তিনি। সেখান থেকেই অবৈধভাবে উত্তর কোরিয়ায় ঢোকেন এই মার্কিন সেনা। এই প্রথম কোনো মার্কিন সৈন্য এভাবে উত্তর কোরিয়ায় ঢুকে ধরা পড়লেন।
পেন্টাগন অবশ্য জানিয়েছে, ট্র্যাভিসের সুস্থতাই তাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। উত্তর কোরিয়া সংবাদমাধ্যমকে যা-ই বলুক, তারা চায় ট্র্যাভিস দ্রুত দেশে ফিরে যান। সেজন্য সব চ্যানেলে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে পেন্টাগনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ট্র্যাভিসকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য পেন্টাগন সব ব্যবস্থা করবে বলেও জানানো হয়েছে।
উত্তর কোরিয়া ট্র্যাভিসের বিষয়ে যা বলছে, তা আদৌ সত্য কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট, গত ১৮ জুলাই টেক্সাসের বিমান না ধরে ট্র্যাভিস উত্তর কোরিয়ার দিকে গিয়েছিলেন।