চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের অপেক্ষায় ভারতের চন্দ্রযান-৩
ভারতের চন্দ্রযান-৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুর একটি এলাকায় আজ বুধবার (২৩ আগস্ট) ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার পরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
একই অঞ্চলে রাশিয়ান একটি প্রোব বিধ্বস্ত হওয়ার কয়েকদিন পর ভারতের চন্দ্রযানটি চাঁদে অবতরণ করতে যাচ্ছে। এর ফলে ভারত চাঁদের দক্ষিণ মেরুর ওই এলাকায় মহাকাশযান অবতরণকারী প্রথম দেশ হওয়ার আশা করছে।
সর্বশেষ চাঁদে অবতরণ প্রচেষ্টায় বিশ্বের জনবহুল দেশটির জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। কারণ এই সাফল্য দেশটিতে মহাকাশ গবেষণায় অগ্রসর বিশ্বের মুষ্টিমেয় দেশগুলোর কাতারে নিয়ে যাবে।
আজ বুধবার (২৩ আগস্ট) ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র প্রথম পৃষ্ঠার শিরোনাম ছিল ‘ইন্ডিয়া রিচেস ফর দ্য মুন’। দেশটির সংবাদপত্রে তাদের চন্দ্র অভিযান প্রাধান্য পেয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বলেছে, ‘এটি মুন মিশনের জন্য ডি-ডে’।
২০১৯ সালে ভারতের পূর্ববর্তী চন্দ্র অভিযান ব্যর্থ হয়েছিল এবং প্রায় ৫০ বছরের মধ্যে রাশিয়ার প্রথম চাঁদ মিশনে একই অঞ্চলে অবতরণের জন্য নির্ধারিত প্রোবটি বিধ্বস্ত হওয়ার মাত্র কয়েকদিন পরে ভারতের এই সর্বশেষ প্রচেষ্টা সফল হতে যাচ্ছে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারতীয় মহাকাশ সংস্থার সাবেক প্রধান কে সিভান বলেন, ‘ল্যান্ডারের ক্যামেরায় তোলা সাম্প্রতিক পাঠানো প্রতিটি ছবি ইঙ্গিত দেয়, এই অভিযানের চূড়ান্ত পর্বটি সফল হবে।’
সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে কে সিভান বলেন, ‘এটি কিছুটা উৎসাহ দিচ্ছে, আমরা কোনো সমস্যা ছাড়াই ল্যান্ডিং মিশনটি সফল করতে পারব।’
সিভান বলেন, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) চার বছর আগের ব্যর্থতার পরে চন্দ্রযানের ত্রুটির সংশোধন করেছে। পূর্ববর্তী চন্দ্রযান তার নির্ধারিত অবতরণের মুহূর্তে মডিউলের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছিল।
সিভান আশা প্রকাশ করেন, ‘চন্দ্রযান-৩ এর অবতরণ মসৃণ হবে।’
ভারতের তুলনামূলকভাবে কম বাজেটের মহাকাশ কর্মসূচির অধীনে ২০০৮ সালে চাঁদের কক্ষপথে প্রথম একটি প্রোব পাঠায়। এরপর থেকে এটির আকার ও গতি যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বশেষ এ মিশনে ব্যয় হয়েছে ৭৪ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম।