ফুকুশিমার শোধিত তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে ফেলছে জাপান
জাপানে সুনামিতে বিধ্বস্ত ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে শোধিত তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে নির্গত করছে জাপান। এ নিষ্কাশন পরিকল্পনা নিয়ে দীর্ঘ এক দশক ধরে চলমান বিতর্কের মাঝেই আজ বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) কার্যক্রম শুরু করে দেশটি। খবর আলজাজিরার।
ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির পরিচালনাকারী সংস্থা টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি (টেপকো) স্থানীয় সময় দুপুর ১টার কিছু পরে পাম্পের মাধ্যমে প্রশান্ত মহাসাগরে পানি ছেড়ে দেওয়া শুরু করে। এ কার্যক্রমের জন্য আবহাওয়া ও সমুদ্রের অবস্থা উপযুক্ত রয়েছে বলেও জানায় তারা।
ঘটনাস্থল থেকে ভিডিও কনফারেন্সে টেপকোর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এখন, সমুদ্রের পানি স্থানান্তরের পাম্পগুলোর ভালভ খোলা হচ্ছে।’
২০১১ সালের সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত চুল্লিগুলোকে ঠান্ডা করতে ব্যবহৃত ১০ লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি শোধিত পানি বর্তমানে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির আশপাশে প্রায় এক হাজার ট্যাংকে সংরক্ষণ করা হয়েছে। অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিত্যক্ত করার প্রক্রিয়ার মধ্যে এসব তেজস্ক্রিয় পানি অপসারণই এখন মূল কাজ। সম্পূর্ণ নিষ্কাশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ৪০ বছর পর্যন্ত লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) কর্মকর্তারা স্থাপনাটিতে থাকবেন এবং পানি ও মাছের নমুনা সংগ্রহ করবেন।
জাপান বলেছে, ট্রিটিয়াম ছাড়া সব তেজস্ক্রিয় উপাদান পরিশোধন করা হয়েছে, যা পানি থেকে অপসারণ করা কঠিন।
টেপকো ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত চারবার শোধিত পানি নিষ্কাশন কার্যক্রম পরিচালনা করবে, প্রতিবার সাত হাজার ৮০০ ঘনমিটার পানি ছাড়া হবে। আজ থেকে শুরু হওয়া নিষ্কাশন কাজ প্রায় ১৭ দিন ধরে চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
টেপকোর তথ্য অনুসারে, এই পানিতে প্রতি লিটারে প্রায় ১৯০ বেকারেল ট্রিটিয়াম থাকবে। বেকারেল হলো তেজস্ক্রিয়তা পরিমাপের একটি ইউনিট।