উপকূলের কাছাকাছি টাইফুন ‘সাওলা’, চীনে সর্বোচ্চ সতর্কতা
চীনের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের উপকূলের দিকে ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বাতাসের গতি নিয়ে টাইফুন ‘সাওলা’ এগিয়ে আসতে থাকায় জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। ঘূর্ণিঝড়টি হংকং ও পার্শ্ববর্তী গুয়াংডং প্রদেশের প্রধান ম্যানুফেকচারিং হাবের জন্য বিশেষ হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। টাইফুন ‘সাওলা’র কারণে আজ বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে আবহাওয়া পূর্বাভাসকারীরা লাল সতর্কতা জারি করতে নির্দেশনা দিয়েছেন।
চীনের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র জানিয়েছে, সাওলা বর্তমানে গুয়াংডং প্রদেশ থেকে ৩১৫ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছে এবং তা প্রতি ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার গতিতে দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর দিয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে ১২১টি যাত্রীবাহী ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি চীনের দক্ষিণাঞ্চলের অধিবাসীদের উপকূল থেকে দূরে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া কেন্দ্র জানিয়েছে, সাওলা ১ সেপ্টেম্বর বিকেল থেকে রাত নাগাদ গুয়াংডং ও হংকংয়ের মাঝামাঝি হুইলাই কাউন্টিতে আঘাত হানতে পারে। গুয়াংডংয়ের ইতিহাসে ১৯৪৯ সালের পর থেকে আঘাত হানা পাঁচটি সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের একটি হবে সাওলা।
এদিকে, ‘সাওলা’ এগিয়ে আসতে থাকায় গুয়াংডংয়ের শেনঝেন সিটিতে হলুদ মাত্রার টাইফুন সতর্কতা দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া সেখানকার নার্সারি, কিন্ডারগার্টেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস বাতিল করা হয়েছে।
ওদিকে, হংকংয়ের আবহাওয়া বিভাগ শক্তিশালী ঝড়ো বাতাস এবং নিম্নাঞ্চলের জনাকীর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্রেগুলোতে সম্ভাব্য জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। এছাড়া শহরের বাসিন্দাদের উপকূল থেকে দূরে থাকারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সাওলার প্রভাবে আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৮টা নাগাদ ফুজিয়ান ও গুয়াংডং প্রদেশের কিছু কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র। এছাড়া ফুজিয়ানের শিশি শহরে নীল মাত্রার সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
টাইফুনটি বর্তমানে তাইওয়ানের দক্ষিণে অবস্থান করছে। বাসি চ্যানেলে তাইওয়ান ও ফিলিপাইনকে বিচ্ছিন্ন করা এলাকার মহাসাগরে এখন অবস্থান ‘সাওলা’র। টাইফুনটি এ সপ্তাহে ফিলিপাইন অতিক্রম করে আসে। এ সময় প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিচু এলাকার বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়।