ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে পদচ্যুত করলেন জেলেনস্কি
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রোববার (৩ আগস্ট) রাতে দেওয়া ভাষণে জেলেনস্কি এ কথা জানান। পাশাপাশি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে নতুন করে সাজানোর কথা জানান তিনি। খবর এএফপির।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায় রাশিয়া। এরপরেই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়, যা চলমান। রুশ আগ্রাসনের তিন মাস আগে রেজনিকভকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী করা হয়। মিত্রদের আধুনিক অস্ত্র সহায়তায় চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন তিনি।
এএফপি জানিয়েছে, রোববার সন্ধ্যায় একটি ভিডিও বার্তায় রেজনিকভকে পদচ্যুত করা হয়। রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে কিয়েভের পাল্টা আক্রমণের মধ্যেই এই ঘোষণা আসে। এ ছাড়া কিয়েভের দুর্নীতি নিয়েও অনেক অভিযোগ উঠছে। এর জেরে বেশ চাপে রয়েছে তারা। পাশাপাশি দুর্নীতি কমাতে দেশটিকে চাপ দিয়ে আসছে পশ্চিমারা।
জেলেনস্কি তার প্রতিদিনের সন্ধ্যার ভাষণে বলেন, ‘পূর্ণ যুদ্ধের মধ্যেই ওলেকসি রেজনিকভ সাড়ে ৫০০ দিনের বেশি সময় অতিবাহিত করেছে। আমি বিশ্বাস করি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে নতুন করে সাজানোর প্রয়োজন রয়েছে। নতুন পন্থা দরকার, যাতে সমাজ ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে এই মন্ত্রণালয় মিথস্ক্রিয়া ঘটাতে পারে।’
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন মন্ত্রী হিসেবে ক্রিমিয়ার তাতার গোষ্ঠী নেতা রুস্তেম উমেরভের নাম ঘোষণা করেন জেলেনস্কি। ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি তহবিলের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। জেলেনস্কি বলেন, ‘এখন রুস্তেম উমেরভকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান হওয়া উচিত। আশা করি, পার্লামেন্টের সদস্যরা তাকে সমর্থন করবে।’
৫৭ বছর বয়সী রুস্তেম আইনজীবী পেশায় ছিলেন। যুদ্ধ সম্পর্কে তার জ্ঞান সীমিত। যুদ্ধের জেরে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন তিনি।
এএফপি বলছে, রুশ আগ্রাসনের পর থেকেই ইউক্রেনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সে কারণেই রেজনিকভকে পদচ্যুত করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত জানুয়ারিতে ইউক্রেনীয় বাহিনীর জন্য বাজার মূল্যের চেয়ে দুই থেকে তিন গুণ বেশি দামে খাদ্যসামগ্রী কেনার অভিযোগে রেজনিকভের সহযোগী পদত্যাগ করেন।