চলতি দশকেই জীবাশ্ম জ্বালানির চাহিদা শীর্ষে থাকবে : আইইএ প্রধান
চলতি দশকেই জীবাশ্ম জ্বালানি তেল, গ্যাস ও কয়লার চাহিদা সর্বোচ্চ অবস্থানে থাকবে বলে পূর্ভাবাস দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ)। পাশাপাশি দশক শেষে চাহিদা কমবে বলেও জানান তিনি। চাহিদা কমার জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে ইঙ্গিত দিয়েছে আইইএ প্রধান।
আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ গণমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে (এফটি) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানিয়েছেন আইইএ প্রধান ফাতিহ বিরল। খবর এএফপির।
আইইএর প্রধান নির্বাহী ফাতিহ বিরল বলেন, ‘আগামী মাসে আইইএর বার্ষিক ওয়ার্ল্ড এনার্জি আউটলুক হতে চলছে। আর এতেই দেখা যাবে, বিশ্ব একটি ঐতিহাসিক মোড়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য এই পরিবর্তনে প্রভাব পড়বে। কারণ, এটি গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকে বাড়িয়ে তুলবে।’
ফাতিহ বিরল বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী সরকারগুলোর নীতির ওপর ভিত্তি করে, তিনটি জীবাশ্ম জ্বালানির চাহিদা আগামী বছরগুলোতে একটি শীর্ষ অবস্থানে পৌঁছাতে প্রস্তুত। চলতি দশকে প্রথমবারের মতো প্রতিটি জীবাশ্ম জ্বালানির চাহিদা স্পষ্ট হচ্ছে।’ প্রত্যাশার আগে এমনটি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এএফপি বলছে, ২০৩০ সালের আগে তেলের চাহিদা বাড়বে এটা অনুমেয়। তবে, এরপর থেকে এই জীবাশ্ম জ্বালানির চাহিদা কমার কথা। এর মূলে রয়েছে বৈদ্যুতিক যান।
তেলের মতো একই অবস্থা প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্ষেত্রেও। এই দশকের শেষে গ্যাসের চাহিদা কমবে। কারণ, উন্নত অর্থনীতির দেশগুলো নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে ঝুঁকছে। আর এমনটা বেশি হচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য। রাশিয়া থেকে গ্যাস কেনা থেকে দূরে সরছে তারা।
ফাতিহ বিরল বলেন, ‘আগামী কয়েক বছরে কয়লার চাহিদা তুঙ্গে থাকবে। তবে, এরপরেই এই জ্বালানির চাহিদাও কমবে।’
জীবাশ্ম জ্বালানিতে পতনশীল বিনিয়োগ এবং শীর্ষ ভোক্তা চীনে নবায়নযোগ্য শক্তি ও পারমাণবিক শক্তির বৃদ্ধির দিকে ঝুঁকছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন আইইএ প্রধান।