পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে
পাকিস্তানে বহুল প্রতীক্ষিত সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন এই তথ্য জানিয়েছে। কমিশন বলছে, নতুন করে নির্বাচনী এলাকা চিহ্নিত করতে নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন পেছানো হয়েছে।
পাকিস্তানের নির্বাচন প্যানেল জানায়, ৩০ নভেম্বর নতুন নির্বাচনী এলাকার তালিকা প্রকাশিত হবে আর মনোনয়নপত্র পূরণ, আপিল ও নির্বাচনী প্রচারণার ৫৪ দিনের প্রক্রিয়া শেষে জানুয়ারির শেষভাগে অনুষ্ঠিত হবে সাধারণ নির্বাচন।
আগস্ট মাসে পাঁচ বছর মেয়াদ পূরণের পর পাকিস্তানের ২৪ কোটিরও বেশি নাগরিক এখন নির্বাচনের প্রতীক্ষায়। আর নির্বাচনের তত্ত্বাবধান করছে দেশটির কেয়ারটেকার সরকার।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় পরিষদ বা প্রাদেশিক পরিষদ পূর্ণ মেয়াদ পার করে ভেঙে দেওয়ার পর ৬০ দিনের মধ্যে অবশ্যই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে, অথবা পার্লামেন্ট আগে ভেঙে দিলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।
তবে, আগের সরকারের ক্ষমতা ছাড়ার কয়েকদিন আগে সে সময়কার প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ দেশের সর্বশেষ শুমারির অনুমোদন দেন, যেখানে কিছু সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। আর নির্বাচনের এই ঘোষণা এমন একটি সময়ে এলো যখন পাকিস্তান তীব্র অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সংকটে জর্জরিত।
গত বছরের এপ্রিল মাসে আস্থা ভোটে হেরে যাবার পর ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হয়। পদ ছাড়ার পর থেকেই ইমরান খান ও তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ আগাম নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। গত মাসে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয় দুর্নীতির মামলায় এবং বিচারে তিন বছরের কারাদণ্ডও দেওয়া হয়।