আমাদের লক্ষ্য স্বাধীনতা : হামাস
হামলা পাল্টা হামলার জেরে উত্তপ্ত ও রক্তাক্ত গাজা উপত্যকা। অবশ্য, হামলাটি আগে চালিয়েছিল ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস, যা এখনও চলমান। জবাবে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলও। হঠাৎ করে হামাস কেন হামলা চালাল, তা নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ। তবে, সংগঠনটির দাবি, স্বাধীনতার জন্যই তারা হামলা চালাচ্ছে। খবর আল-জাজিরার।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠীটির উপপ্রধান সালেহ আল-আরুরি বলেন, ‘স্বাধীনতার জন্যই আমাদের এই লড়াই।’ আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এটি কোনো অভিযান নয়। আমরা সর্বাত্মক একটি লড়াই শুরু করেছি। আমাদের ধারণা, এই লড়াই চলবে ও তা বিস্তৃত হবে। আমাদের লক্ষ্য একটাই, আমাদের স্বাধীনতা ও পবিত্র স্থাপনাগুলোর মুক্তি।’
হামাসের উপপ্রধান আরও বলেন, ‘ নিজেদের স্বাধীনতা, ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াই ও তাদের পবিত্র স্থানগুলো রক্ষা করার অধিকার রয়েছে ফিলিস্তিনিদের। বিজয়ী না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই লড়াই চালিয়ে যাবো।’
সাক্ষাৎকারে আল-জাজিরাকে এই হামাস নেতা বলেন, ‘আমরা সবচেয়ে বাজে অবস্থা দেখতেও রাজি আছি। যেকোনো পরিস্থিতি এখন সম্ভব। আমরা ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে আক্রমণের জন্য প্রস্তুত।’
সালেহ আল-আরুরি বলেন, ‘আমরা অনেক ইসরায়েলি যোদ্ধাকে হত্যা ও আটক করেছি। লড়াই এখনও চলমান। ইসরায়েলে আটক ফিলিস্তিনি বন্দিদের আমি বলতে চাই, আপনাদের স্বাধীনতা ফিরে আসবে। কারণ, বিনিময়ের জন্য আমাদের কাছে যথেষ্ট ইসরায়েলি বন্দি রয়েছে। লড়াই যত দীর্ঘস্থায়ী হবে ততই বন্দির সংখ্যা বাড়তে থাকবে।’
এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১৯৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে হাজারেরও বেশি। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ছে। অন্যদিকে, হামাসের হামলায় ইসরায়েলের শতাধিক মানুষ মারা গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। তবে, দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে, হামলায় ৪০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা মেডিসিন স্যান্স ফ্রন্টিয়ার (এমএসএফ) জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজায় একটি ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে হাসপাতালটির সামনে থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্স ধ্বংস হয়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে এমএসএফ লেখে, ‘ইসরায়েলি হামলায় একজন নার্স ও একজন অ্যাম্বুলেন্সের চালক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। হামলায় হাসপাতালের একটি অক্সিজেন স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
সংস্থাটি বলছে, ‘স্বাস্থ্য পরিষেবা হামলা লক্ষ্যবস্তু হতে পারে না। আমরা সব পক্ষকে স্বাস্থ্য অবকাঠামোকে সম্মান জানানোর আহ্বান জানাচ্ছি।’