ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ইরান জড়িত নয় : আয়াতুল্লাহ খামেনি
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ইসরায়েলে হামাসের মারাত্মক হামলায় দেশটির জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। তবে তিনি এ হামলার পরিকল্পনাকারীদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) ইসরায়েলে হামাসের হামলা শুরুর পর প্রথমবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি। খবর আলজাজিরার।
আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, ‘ইসরায়েলে হামাসের হামলায় তেহরান জড়িত নয়।’ তবে, তিনি ইসরায়েলের ‘অপূরণীয়’ সামরিক ক্ষতি ও গোয়েন্দা পরাজয়কে স্বাগত জানান।
খামেনি বলেন, ‘যারা ইহুদিবাদী শাসনের ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন, আমরা তাদের হাতে চুমু খাই।’
এর আগে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘যদিও এই যুদ্ধ ইসরায়েল শুরু করেনি, তবে এটি শেষ করবে।’ সোমবার (৯ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন নেতানিয়াহু।
হামাসের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার অংশ হিসেবে ইসরায়েল তিন লাখ সৈন্য মাঠে নামিয়েছে। ১৯৭৩ সালের ইয়োম কিপ্পুর যুদ্ধের পর ইসরায়েলের এটিই সবচেয়ে বড় সেনা সমাবেশ। তখন চার লাখ রিজার্ভ সৈন্য মোতায়েন করেছিল ইসরায়েল। টাইমস অব ইসরায়েল এ তথ্য জানিয়েছে।
জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, ‘ইসরায়েল একটি যুদ্ধে আছে। আমরা এই যুদ্ধ চাইনি। সবচেয়ে নৃশংস ও বর্বর উপায়ে আমাদেরকে বাধ্য করা হয়েছে। কিন্তু, যদিও ইসরায়েল এই যুদ্ধ শুরু করেনি, তবে ইসরায়েল এটি শেষ করবে।’
ইতোমধ্যে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় খাদ্য ও পানি সরবরাহ নিষিদ্ধসহ পুরো মাত্রার অবরোধ ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। গত শনিবার (৭ অক্টোবর) কয়েক দশকের মধ্যে ইসরায়েলে সবচেয়ে বড় হামলা চালায় হামাস। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, গাজার সীমান্তে প্রায় এক লাখ রিজার্ভ সৈন্য জড়ো করা হয়েছে।
ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত ফিলিস্তিনের ১৪০ শিশুসহ ৭০০ জন নিহত হয়েছেন। অপরদিকে পাল্টা হামলায় ইসরায়েলের ৯০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন।