হামলার তিন দিন আগেই ইসরায়েলকে সতর্ক করেছিল মিসর
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস গত ৭ অক্টোবর সকালের দিকে ইসরায়েলে হামলা চালায়। আকস্মিক এই হামলায় হতভম্ব হয়ে পড়ে ইসরায়েলসহ গোটা বিশ্ব। তবে, হামাসের হামলার তিনদিন আগেই এ নিয়ে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছিল মিসর। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিষয়ক হাউস কমিটি আজ বুধবার (১১ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের জেরে আজ যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতাদের একটি ‘ক্লোজ ডোর’ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আইন প্রণেতাদের গোয়েন্দা ব্রিফিং করা হয়। বৈঠক শেষে রিপাবলিকান আইন প্রণেতা মিচেল ম্যাককাউল বলেন, ‘হামাস হামলা চালাতে পারে মিসর তা তিনদিন আগেই ইসরায়েলিদের সতর্ক করেছিল। বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত। আমি গোপন নথির দিকে যাচ্ছি না। তবে, সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। তবে, আমার প্রশ্ন, ইসরায়েলের কোন স্তরে বিষয়টি জানানো হয়েছিল।’
এএফপি বলছে, ইসরায়েলের ৭৩ বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হামলা গত ৭ অক্টোবর চালায় হামাস। নিরাপত্তা বলয়কে ফাঁকি দিয়ে গাজা উপত্যকা ছেড়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে চলে আসে হামাসের দেড় হাজার যোদ্ধা। স্থলপথ, আকাশপথ ও সমুদ্রপথ দিয়ে ইহুদি দেশটিতে হামলা চালায় তারা।
হামাস কীভাবে এতো বড় হামলা চালাল, কীভাবে তারা এই আক্রমণের প্রস্তুতি নিয়েছে তা এখনও অজানা। তবে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে হামলা চালানো এই দুদেশের গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা স্পষ্ট করেছে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, হামাসের বন্দুকধারীদের হামলায় এক হাজার ২০০ এর বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে দুই হাজার ৭০০ এর বেশি। ছোট শহরগুলো ও কিবুতজিমে প্রবেশ করে সশস্ত্র সংগঠনটি নির্বিচারে বাসিন্দাদের হত্যা করেছে।
হামাসের হামলার জেরে গাজা উপত্যকায়ও অনবরত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই যুদ্ধে ইতোমধ্যে দুই দেশ মিলিয়ে তিন হাজার ৭০০ এর বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
মিচেল ম্যাককাউল বলেন, ‘এক বছর আগে থেকে হামাস হামলার পরিকল্পনা করছিল।’ এই মার্কিন আইন প্রণেতা বলেন, ‘আমরা ও ইসরায়েল কীভাবে এটি বুঝতে পারিনি সে বিষয়ে পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত নয়।’
এ বিষয়ে মিসর কর্তৃপক্ষ এখনও কোনো মন্তব্য করেনি। তবে, দেশটির বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম যারা কি না গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে তারা সতর্কতার বিষয়টি প্রথম জানিয়েছে।