ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ : সৌদি যুবরাজ ও ইরানের প্রেসিডেন্টের ফোনালাপ
ইসরায়েল ও হামাসের চলমান যুদ্ধ নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেছেন সৌদি আরবের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আজ বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।
সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) খবরে বলা হয়, ‘ইরানের নেতা ইব্রাহিম রাইসি বুধবার (১১ অক্টোবর) সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানকে টেলিফোন করেন। এ সময় তারা গাজার বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।’
যুবরাজ মোহাম্মাদ সালমান রাইসিকে বলেন, গাজায় চলমান উত্তেজনা থামাতে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে রিয়াদ। ফিলিস্তিনকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে সৌদি আরবের দৃঢ় অবস্থানের কথাও জোর দিয়ে বলেন যুবরাজ।
এ ফোনালাপের ব্যাপারে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানায়, দুই নেতা ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
শনিবার (৭ অক্টোবর) হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা শুরু করে। ইসরায়েলি বাহিনী বলেছে, এতে দেশটিতে এক হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
এদিকে, গাজার কর্মকর্তারা ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক বিমান ও কামান হামলায় এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে।
যুদ্ধে গাজায় হামাসের হাতে বন্দি কমপক্ষে ১৫০ জিম্মির পরিণতি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। জিম্মিদের বেশিরভাগই ইসরায়েলি নাগরিক। তাদের মধ্যে বিদেশি ও দ্বৈত নাগরিকও রয়েছেন।
ইরান দীর্ঘদিন ধরে হামাসকে আর্থিক ও সামরিকভাবে সমর্থন দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে শনিবারের হামলায় ইরানের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না বলে দাবি করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান বুধবার (১১ অক্টোবর) তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। এ সময় ৩৮ বছর বয়সী সৌদি নেতা সালমান বলেন, তিনি গাজার বর্তমান উত্তেজনা বন্ধে সমন্বয় সাধনে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগের মাধ্যমে অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।