গাজায় আকাশ, সাগর ও স্থলপথে একযোগে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল
গাজায় আকাশ, সাগর ও স্থলপথে একযোগে হামলার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। কোনো সুনির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ না করে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এ কথা জানিয়েছে। খবর বিবিসি’র।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধক্ষেত্রে সম্মুখ যুদ্ধের সেনাদের জানান খুব শিগগিরই গাজায় ব্যাপক আকারের স্থল অভিযান শুরু হচ্ছে। এ সময় তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের পরবর্তী ধাপ আসছে।’
ইসরায়েল গাজার উত্তর অংশে অবস্থানরত ১১ লাখ ফিলিস্তিনি অধিবাসীদের দক্ষিণ অংশে সরে যেতে সতর্কতামূলক নির্দেশনা দিয়েছে আর এরপর থেকেই বিভিন্ন যানবাহন ও পায়ে হেঁটে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ইসরায়েলের এই নির্দেশের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটি বলছে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের সরিয়ে নেওয়ার এই কাজ হবে এক ধরনের ‘মৃত্যুদণ্ড’ দেওয়ার মতো অবস্থা।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে পালাতে থাকা ফিলিস্তিনি গাড়িবহরে ইসরায়েলি হামলায় বেশ কিছু নারী ও শিশু নিহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের হামলায় ১৩০০’র বেশি লোক নিহত হয়েছে। এছাড়া গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণে ২২০০’র বেশি লোক নিহত হয়েছে।
এদিকে, গতকাল শনিবার গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ২৪ ঘণ্টায় ৩০০’র বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য দিয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই হলো নারী ও শিশু। এছাড়া অব্যাহত হামলায় আরও ৮০০ জনের বেশি লোক আহত হয়েছে।
ওদিকে, ইসরায়েলে শত্রুতামূলক তৎপরতাকে দমিয়ে রাখতে ভূমধ্যসাগরে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক বিবৃতিতে পেন্টাগন এই তথ্য জানায়। রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ডকে সঙ্গ দিতে রণতরী ইউএসএস আইসেনহোয়ার ইতোমধ্যে তার যাত্রা শুরু করেছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।
জাতিসংঘে ইরানের মিশন জানিয়েছে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ যদি দ্রুত বন্ধ না হয় তবে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে আর এরজন্য চড়া মূল্য দিতে হতে পারে সবাইকে।