গাজায় এবার গির্জায় ইসরায়েলের বিমান হামলা
ফিলিস্তিনের গাজা শহরের কেন্দ্রস্থলে গ্রিক সেইন্ট পরফাইরাস গির্জায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গাজা শহরের সবচেয়ে পুরনো এই গির্জায় ওই হামলায় আটজন মারা গেছে। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ফিলিস্তিনি মুসলিম ও খ্রিস্টান উভয় সম্প্রদায়ের জন্যই এই গির্জাটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিল। খবর আল জাজিরার।
গির্জাটিতে হামলার কিছুদিন আগেও এর পাদ্রী ফাদার এলিয়াস আশঙ্কা করেছিলেন, সেটি হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে। গির্জায় হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা কেবল ধর্মের ওপর আঘাত নয়, এটা মানবতার ওপর হামলা এবং তা অত্যন্ত জঘন্য কাজ।’
এদিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খুব দ্রুত গাজায় আগ্রাসী অভিযান শুরুর ইঙ্গিত দিয়ে সীমান্তে সমবেত সৈন্যদের উদ্দেশে বলেন, তারা সহসাই ‘ভেতরে থেকে’ গাজাকে দেখতে পাবে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে রাশিয়ার সঙ্গে তুলনা করে বলেন, তার কাছে প্রধান অগ্রাধিকারের বিষয় হলো গাজায় হামাসের হাতে অপহৃত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনা।
ইসরায়েলের উদ্দেশে ছোড়া বেশকিছু ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন গুলি করে নামানোর দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া তারা সিরিয়া ও ইরাকে মার্কিন বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে বলেও জানিয়েছে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের কারণে তা গোটা মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিকে ‘বাস্তব’ বলে অভিহিত করেছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রিয়াসুস বলেন, মানবিক সহায়তার পণ্য নিয়ে ট্রাকবহর গাজার সীমান্তে অবস্থান করছে। অন্যদিকে, সাহায্য পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্র-মিসর চুক্তিকে দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন মার্কিন সিনেটর।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর এ যুদ্ধ শুরু হয়। ইসরায়েলের অবিরাম বিমান হামলায় এ পর্যন্ত তিন হাজার ৭৮৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলের এক হাজার ৪০০ জনের বেশি নিহত হয়েছে।