আশা জাগিয়ে দুই মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দিলো হামাস
উদ্বিগ্ন পরিবারগুলোর প্রতি আশার সঞ্চার করে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অপহৃত দুই মার্কিন বন্দিকে শুক্রবার (২০ অক্টোবর) মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। অবরুদ্ধ জনাকীর্ণ এই উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বোমাবর্ষণের মুখে লাখ লাখ সাধারণ নাগরিক অবশ্য এখনও প্রতিশ্রুত মানবিক সহায়তার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। খবর এএফপির।
ইসলামপন্থী সংগঠন হামাস গত ৭ অক্টোবর অতর্কিত আক্রমণে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে এক হাজার ৪০০ লোককে হত্যা করে, যার বেশির ভাগই ছিল বেসামরিক নাগরিক। এ সময় হামাস ইসরায়েল থেকে ২০০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসে। এসব তথ্য জানিয়েছেন ইসরায়েলের কর্মকর্তারা।
এদিকে, জিম্মিদের ভাগ্য বেশ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছিল। এ অবস্থায় জুডিথ তাই রানান ও নাতালি সুসান রানান নামে দুই মার্কিন নাগরিক মা ও মেয়ের মুক্তির মাধ্যমে কিছুটা হলেও ‘আশার সঞ্চার’ হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেড ক্রসের প্রেসিডেন্ট মিরজানা স্পলজারিক।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, তিনি বন্দিদের মুক্তি পাওয়ার এ ঘটনায় ভীষণ আনন্দিত। যুদ্ধপীড়িত ইসরায়েলে বাইডেনের সফরের একদিন পর বন্দি মুক্তির এই ঘটনা ঘটল। এ সময় তিনি গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়টির ওপর বেশ জোর দেন।
যদিও গাজার প্রবেশের জন্য ব্যবহৃত রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ের মিসরীয় অংশে এখনও প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে মানবিক সহায়তার পণ্যবাহী সারি সারি ট্রাক। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অবশ্য বলেছেন, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেখানে পণ্য সরবরাহ শুরু হতে পারে।
এদিকে, হামাসকে ধ্বংসের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেছে ইসরায়েল। দেশটির কর্মকর্তারা জানান, ৭ অক্টোবরের হামলার পর ইসরায়েলি বাহিনী যখন বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়, তখন সংঘর্ষে দেড় হাজার হামাস যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
অন্যদিকে, হামাসের প্রতিশোধ নিতে একের পর এক বিমান হামলা করে গাজা শহরটিকে প্রায় ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় এ পর্যন্ত চার হাজার ১৩৭ জন নিরীহ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া কয়েক লাখ ইসরায়েলি সেনা ‘শিগগিরই’ অভিযান শুরুর লক্ষ্যে গাজার সীমান্তে অবস্থান করছে। তবে, এই অভিযান শুরু হলে হামাসের হাতে আটক বন্দিদের জীবন বিপদাপন্ন হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।