স্থল অভিযানের আগে গাজায় হামলা জোরদার করছে ইসরায়েল
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, পরিকল্পিত স্থল অভিযানের আগে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় হামলা আরও তীব্র করতে যাচ্ছে তারা। ইতোমধ্যে অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটিতে ‘দুর্যোগপূর্ণ মানবিক পরিস্থিতি’ তৈরি হওয়ার বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা। খবর এএফপির।
শনিবার (২১ অক্টোবর) সাহায্য সামগ্রী নিয়ে মিসর থেকে প্রথম বহরটি ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে প্রবেশ করে। এই বহরে মাত্র ২০টি ট্রাককে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। অপ্রতুল এই সাহায্য সামগ্রীকে গাজার ২৪ লাখ অধিবাসীর বিপরীতে সমুদ্রে এক ফোঁটা পানির মতোই বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের আচমকা হামলায় দেশটির এক হাজার ৪০০ জনের বেশি নিহত হওয়ার পর থেকে প্রতিশোধ নিতে গাজায় অবিরাম বোমাবর্ষণ করছে ইসরায়েল। নির্বিচার এই বিমান হামলায় ফিলিস্তিনের চার হাজার ৩০০ জনের বেশি নিহত হয়েছে।
গাজা শহরের ৪০ শতাংশের বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা। পাশাপাশি ইসরায়েল সেখানে খাদ্য, পানীয়, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র এডমিরাল ডানিয়েল হাগারি জানান, দেশটি গাজায় বোমাবর্ষণ আরও তীব্র করবে, যাতে স্থল অভিযানের সময় সেনাসদস্যরা অপেক্ষাকৃত কম ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হন এবং ঝুঁকি কমে যায়।
ডানিয়েল হাগারি বলেন, ‘আজ থেকে আমরা হামলার তীব্রতা আরও বাড়াব এবং নিজেদের জন্য বিপদ কমিয়ে আনব।’
হাগারি আরও বলেন, ‘আমরা হামলা আরও বাড়াব। এজন্য গাজার উত্তরাঞ্চলের অধিবাসীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আরও দক্ষিণ অংশে চলে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
ইসরায়েল এর আগে ১০ লাখেরও বেশি অধিবাসীকে গাজার উত্তর অংশ থেকে দক্ষিণ অংশে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়। জাতিসংঘ বলছে, অবরুদ্ধ ছিটমহলটির অর্ধেকেরও বেশি অধিবাসী এখন বাস্তুচ্যুত।
তবে গাজার দক্ষিণ অংশেও বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাতভর বিমান হামলায় খান ইউনিসে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিম তীরের নূর শামস শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে পাঁচ শিশুসহ ১৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে। ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা ইউএনআরডব্লিউএ এই তথ্য দিয়েছে। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, ওই অভিযানে আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।