গাজায় রাতভর ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত ৫৫
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় রাতভর ইসরায়েলের বিমান হামলায় কমপক্ষে ৫৫ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের হামাস। গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার তীব্রতা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পরপরই এই হতাহতের ঘটনা ঘটল।
ইসরায়েলে গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে চালানো বিরতিহীন বোমা বর্ষণে আরও ৫৫ জনের বেশি শহীদ হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানায় হামাস। খবর এএফপির।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আক্রমণের তীব্রতা বাড়ানোর ইসরায়েলি ঘোষণার এক ঘণ্টা পরেই হামলা চালিয়ে ৩০টি ভবন ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
হামাস সরকার জানিয়েছে, ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামাসের হামলার পর পাল্টা জবাবে ইসরায়েলি হামলায় চার হাজার ৩০০ লোক নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই সাধারণ নাগরিক।
স্থল অভিযানের জন্য গাজার চারদিকে হাজার হাজার সেনাসদস্য মোতায়েন করেছে ইসরায়েল। দেশটি জানিয়েছে, ইতোমধ্যে পরিচালিত হামলায় অনেক হামাস নেতা ও সামরিক কমান্ডার নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র শনিবার (২১ অক্টোবর) দিনগত রাতে বলেন, ‘আজ থেকে আমরা নিজেদের জন্য বিপদ কমিয়ে আনতে হামলার তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছি। আমরা হামলার পরিমাণ বাড়াব। এজন্য আমি গাজা শহরের অধিবাসীদের দক্ষিণে সরে যাবার আহ্বান জানাচ্ছি।’ ইসরায়েল গাজার উত্তর অংশ থেকে ১১ লাখ লোককে তাদের স্থল অভিযানের আগে সরে যাবার নির্দেশনা দিয়েছে।
এদিকে, হামাস সরকার গাজায় পাঠানো অপ্রতুল সাহায্য সামগ্রী নিয়ে বিপাকে পড়েছে। গতকাল শনিবার ত্রাণ নিয়ে ২০টি ট্রাক ফিলিস্তিনি সীমান্তে প্রবেশ করে। তারা জানিয়েছে, ছিটমহলটির ১৪ লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে।
হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যে পরিমাণ সাহায্য সামগ্রী গাজায় এসেছে, তা একদিনের জন্যও পর্যাপ্ত নয়। হাজারো ট্রাক পাঠাতে ইসরায়েল সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’