গাজায় সারা রাত ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ, নিহত বেড়ে সাত হাজার
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকা গাজায় বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দিনগত সারা রাত ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এই হামলায় বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়েছে। এতে নারী ও শিশুসহ কয়েক ডজন লোক নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর আলজাজিরার।
ফিলিস্তিনিদের মৃতের সংখ্যার বিশ্বাসযোগ্যতার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশ্ন তোলায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইসরায়েলে হামলায় নিহত কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিকের তালিকা প্রকাশ করে বলেছে, ‘প্রতিটি সংখ্যার পেছনে একেকজনের আলাদা কাহিনী রয়েছে।’
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়েহ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আগ্রাসনের কারণে গোটা মধ্যপ্রাচ্য অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে।’ তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ গাজার পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক শুরু করেছে। জর্ডানের খসড়া প্রস্তাবনাটি ভোটাভুটির জন্য আজ শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) উত্থাপন করা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
গাজায় গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আক্রমণে এ পর্যন্ত সাত হাজার ২৮ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে হামলা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় এক হাজার ৪০০ জনের বেশি মারা যায়।
এদিকে ৭ অক্টোবরের পর থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর দমন অভিযানে মৃতের সংখ্যা ১০৮ জনে পৌঁছেছে। ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বশেষ দমন অভিযানে জেনিন এলাকায় দুজন মারা গেছে এবং আহত হয়েছে ১০ জন। এতে একজন সাংবাদিকও মারাত্মকভাবে আহত হন।
ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা সূত্রে জানা গেছে, গাজার পশ্চিমাঞ্চলীয় আল শাতি শরণার্থী শিবিরে আজ শুক্রবার ভোররাতে ইসরায়েলি দমন অভিযানে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হয়েছে। এই অভিযানে আবাসিক ভবন ও একটি মসজিদ ধ্বংস করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া ইসরায়েলি বাহিনী গাজা শহরের পার্শ্ববর্তী এলাকা আর জয়তুন ও আল সুজেইয়া এলাকাতেও হামলা চালায়। তবে, হামলায় হতাহতের সঠিক সংখ্যা জানা সম্ভব হয়নি।
অধিকৃত ফশ্চিম তীরের তুবাস এলাকায় আহত ফিলিস্তিনিদের সেবা দেওয়ার সময় ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের একজন স্বাস্থ্যকর্মীকে গুলি করে আহত করেছে ইসরায়েলের সেনা সদস্যরা।