পশ্চিম ইউরোপে ঘূর্ণিঝড় সিয়ারানের আঘাত, নিহত ১৬
ইউরোপের পশ্চিম অঞ্চলগুলোতে ঘূর্ণিঝড় ‘সিয়ারান’-এর আঘাতে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রবল বর্ষণ এবং রেকর্ড গতির বাতাসের কারণে মানুষের চলাফেরায় ব্যাঘাত হচ্ছে। এতে অনেক অঞ্চলে স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাতিল করা হয় বিমান, রেল ও ফেরি সার্ভিস। খবর এএফপির।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা রেকর্ড বৃষ্টিপাতের কথা উল্লেখ করে গতকাল শুক্রবার (৩ নভেম্বর) ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চলে জরুরি সতর্কবার্তা জারি করেন। এদিন ইতালি কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় টাস্কানি এলাকায় ঝড়ের আঘাতে ছয়জন প্রাণ হারিয়েছে। টাস্কানিতে বন্যা কবলিত বিভিন্ন টানেলে আটকে থাকা গাড়ির চালকদের সাহায্যে উদ্ধার পরিষেবাগুলোকে ডাকা হয়। এ ছাড়া পর্তুগাল উপকূলে ঝড়ের আঘাতে আরও তিনজনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। আঘাত আনার পর ঝড়টি লিসবনের উত্তর দিক দিয়ে চলে যায়।
ঘূর্ণিঝড় সিয়ারানের আঘাতে ডাচ শহর ভেনরেতে একজন পুরুষ, মাদ্রিদে একজন নারী এবং জার্মানিতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে।
এনডিস পাওয়ার নেটওয়ার্ক জানায়, গ্রিনিচ মান অনুযায়ী বিকেল ৫টার দিকে ফ্রান্সের তিন লাখ ২৫ হাজার পরিবার বিদ্যুতবিহীন অবস্থায় ছিল।
জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা মেটিও ফ্রান্স সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় বলেছে, ব্রিটানি এলাকাতে বাতাসের গতি অস্বাভাবিক অবস্থায় ছিল। এর আগে কখনও এতো বেশি গতির বাতাস দেখা যায়নি।
এদিকে, ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে উপকূল বরাবর ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যায়। এ জন্য ওই অঞ্চলে বৃহস্পতিবার স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিমান, রেল ও ফেরি সার্ভিস বাতিল করা হয়। যেগুলো চলেছে তাও দীর্ঘ সময় পরপর।
খবরে বলা হয়, দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে ইউরোপের প্রধান কেন্দ্র আমস্টাডামের শিফোল বিমানবন্দরে ২০০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্পেনের ১১টি বিমানবন্দরে ৮০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল এবং দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রেল সার্ভিস স্থগিত করা হয়।
বেলজিয়ামের এন্টওয়ার্প বন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমন পরিস্থিতির কারণে ব্রাসেলস থেকে ফ্লাইট চলাচল ব্যাহত হয়।