যুদ্ধের পর গাজার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে ইসরায়েল : নেতানিয়াহু
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধ চলমান। এই যুদ্ধের শেষে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার নিরাপত্তার দায়িত্ব ইসরায়েল নেবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সোমবার (৬ নভেম্বর) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘যুদ্ধের পর অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য গাজার সামগ্রিক নিরাপত্তার দায়িত্ব নেব আমরা।’ খবর এএফপির।
অস্ট্রেলিয়ার সম্প্রচার মাধ্যম এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, ‘যখন আমাদের কাছে নিরাপত্তা দায়িত্ব ছিল না, তখন হামাস যেরকম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি।’
গত ৭ অক্টোবর আকস্মিকভাবে ইসরায়েলে আক্রমণ চালায় হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, হামাসের হামলায় এক হাজার ৪০০ এর বেশি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে বেশিরভাগই বেসামরিক। আর তারা বন্দি করে নিয়ে যায় ২৪০ জনকে। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজা ও পশ্চিম তীরে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। আকাশ, স্থল ও সামুদ্রিক পথ দিয়ে হামলা চালাচ্ছে তারা।
হামাস নিয়ন্ত্রণাধীন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকায় প্রাণ গেছে ১০ হাজারের বেশি মানুষের, যার মধ্যে চার হাজারই শিশু।
সোমবারের (৬ নভেম্বর) সাক্ষাৎকারে গাজা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্যকে ভুল বলেছেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ‘নিহতদের মধ্যে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি যোদ্ধা রয়েছে।’
গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ও বিশ্ব নেতারা। তবে, এই আহ্বান সমর্থন না করার কথা জানিয়েছেন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি হবে না- সাধারণ যুদ্ধবিরতিও হবে না– বন্দিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত। যতদূর সম্ভব সেখানে এক ঘণ্টা, দুই ঘণ্টার জন্য কৌশলগত সামান্য বিরতি আমরা আগেও দিয়েছি। গাজায় মানবিক পণ্যের প্রবেশ বা জিম্মিদের অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হতে পারে।’
৭ অক্টোবর হামাসের হামলার দায় তিনি কতটুকু নেবেন এমন প্রশ্নে নেতানিয়াহু বলেন, ‘এ দায় আমারই নিতে হবে। এটি কোনো প্রশ্ন নয়। যুদ্ধ শেষে এর সমাধান করা হবে।’