গাজার আল-শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার সর্ববৃহৎ হাসপাতাল আল-শিফায় প্রবেশ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। দেশটির স্থানীয় সময় আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) হাসপাতালটিতে ঢুকে পড়ে তারা। তাদের দাবি, কয়েক হাজার অসুস্থ এবং আশ্রয় নেওয়া বেসামরিক লোকজানের অবস্থান করা হাসপাতালটির নিচে হামাসের কমান্ড সেন্টার রয়েছে। খবর এএফপির।
প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, গাজার আল-শিফা হাসপাতালে সামরিক অভিযান চলছে, যা যুদ্ধে বিমান হামলার কেন্দ্রবিন্দু ছিল।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলছে, আমাদের সৈন্যরা স্থাপনাটির একটি নির্দিষ্ট স্থানকে লক্ষ্য করে অভিযান চালাচ্ছে। হামাসের নিয়ন্ত্রণাধীন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ইউসেফ আবুল রিশ বর্তমানে আল-শিফা হাসাপাতালের ভেতরে রয়েছে। তিনি এএফপিকে বলেন, ‘হাসপাতালের প্রাঙ্গণে ট্যাংক রয়েছে। হাসপাতালের জরুরি ও অভ্যর্থনা কেন্দ্রে কয়েক ডজন সৈন্য এবং কমান্ডো অবস্থান করছে।’
এদিকে, গাজার বৃহৎ হাসপাতাল সুরক্ষার দাবি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে, আল-শিফায় অভিযানের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দুষছেন ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। হাসপাতালের অভ্যন্তরে চালানো অভিযান নিয়ে সতর্ক করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গোয়েন্দা তথ্য এবং প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে অভিযান চালানো হচ্ছে। হাজার হাজার রোগী, কর্মচারী ও বাস্তুচ্যুত বেসামরিক নাগরিক হাসপাতাল ভবনের ভেতরে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা হাসপাতালের পরিস্থিতিকে ভয়ঙ্কর বলে আখ্যা দিচ্ছেন। তারা বলছেন, চেতনানাশক ছাড়াই অপারেশন চলছে। করিডোরে খাবার বা পানির অভাব রয়েছে। হাসপাতালের বাতাসে মরদেহের দুর্গন্ধ। আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়া বলেন, ‘হাসপাতাল কমপ্লেক্স ও মর্গে মরদেহ পড়ে আছে। বিদ্যুৎও নেই।’
ইসরায়েল দাবি করে আসছে, হামাস হাসপাতালটিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। তবে হামাস এই দাবি অস্বীকার করে আসছে।