গাজায় আল-শিফা হাসপাতালের নিচে টানেল নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার সর্ববৃহৎ হাসপাতাল আল-শিফায় গত সপ্তাহ থেকে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। সশস্ত্র সংগঠন হামাসের কমান্ড সেন্টার রয়েছে এমন দাবি করে সেখানে অভিযান চালাচ্ছে তারা। ওই হাসপাতালের নিচে ৫৫ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি টানেল পাওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। তবে, বিষয়টিকে নাকচ করে দিয়েছে হামাস। খবর আল-জাজিরার।
গতকাল রোববার (১৯ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, আল-শিফার নীচে ৫৫ মিটার বা ১৮০ ফুট দীর্ঘ একটি টানেল পাওয়া গেছে। টানেলটির গভীরতা ১০ মিটার বা ৩২ ফুট।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একজন সৈন্য নিঁচু হয়ে টানেলে প্রবেশ করছে। ভিডিওটি গত ১৭ নভেম্বর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
ইসরায়েলের প্রকাশিত ওই ভিডিওতে একটি সিঁড়ি দেখা যায় যেটা টানেলে থাকা একটি দরজায় গিয়ে শেষ হয়। ওই দরজাটি বিস্ফোরক নিধোরক বলে জানিয়েছে তারা। এ ছাড়া ওই দরজায় একটি ফুটো রয়েছে যেখান থেকে গুলি করা যাবে।
বিবৃতির তথ্যমতে, টানেলটি একটি শেডের নিচে রয়েছে। সেখানে বিস্ফোরক, অস্ত্রসহ একটি গাড়ি পাওয়া গেছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, ‘একটি সামরিক বুলডোজার হাসপাতাল কমপ্লেক্সের বাইরের প্রাচীরে ধাক্কা দিলে টানেলটি উন্মোচিত হয়।’
ড্যানিয়েল বলেন, ‘গোয়েন্দাদের ধারণা অনুযায়ী, টানেলটি ভেতরে গিয়ে বিভক্ত হয়ে যেতে পারে বা সেখানে কমান্ড সেন্টারের জন্য একটি বড় ঘর থাকতে পারে। এ বিষয়ে সৈন্যরা হাসপাতালের আশেপাশে বাড়িগুলোতে অনুসন্ধান চালাবে। কারণ ওসব বাড়ির সঙ্গে টানেলটি সংযুক্ত থাকতে পারে।’
এদিকে, ইসরায়েলের দাবিকে নাকচ করে দিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রণাধীন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালায়। মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোইনির এল-বুরস বলেন, ‘ইসরায়েল টানেল নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছে সেটি সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা।’