পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি আগ্রাসন অব্যাহত, নিহত ছয়
যুদ্ধবিরতির জন্য গাজা উপত্যকায় হামলা না চালালেও অধিকৃত পশ্চিম তীরে আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের হামলায় গতকাল শনিবার (২৫ নভেম্বর) পশ্চিম তীরে অন্তত ছয় ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গতকাল সকালে জেনিনের পার্শ্ববর্তী কোয়াবাতিয়ায় ২৫ বছর বয়সী একজন চিকিৎসককে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী। ওই এলাকাতে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠনগুলোর বেশ প্রভাব রয়েছে।
এ ছাড়া রামাল্লার পার্শ্ববর্তী এল-বিরেহতে আরও এক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। আর ইসরায়েলি সৈন্যদের আগুনে জেনিনে চার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আগুন দেওয়ার আগে শহরে প্রচুর সংখ্যক সাঁজোয়া যান প্রবেশ করে। সবশেষ ২০ বছরের মধ্যে জেনিনে এটিই ছিল ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় অভিযান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা এএফপিকে জানিয়েছে, জেনিনের একটি সরকারি হাসপাতাল ও ইবনে সিনা ক্লিনিক ঘিরে রেখেছিল ইসরায়েলি বাহিনী। এ সময় হাসপাতালটির ভেতরে তল্লাশি চালায় তারা। এ সময় তাদের হাতে আধুনিক অস্ত্র ছিল।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, হামাসের হামলায় অন্তত এক হাজার ২০০ জন নিহত হয়। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন বেসামরিক নাগরিক। এ ছাড়া ২৪০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় সশস্ত্র সংগঠনটি।
প্রতিশোধ নিতে ফিলিস্তিনের হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা ও পশ্চিম তীরে ক্রমাগতভাবে পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। হামাস নিয়ন্ত্রণাধীন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলি বাহিনীর আকাশ, নৌ ও স্থলপথে চালানো হামলায় ফিলিস্তিনের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয় হাজার ১৫০ জনই শিশু। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলের হামলা পশ্চিম তীরে ২৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।