শেষ দিনে হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি
গাজায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের হওয়া চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছিল গত শুক্রবার। সেই যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে দুপক্ষই মুক্তি দিয়েছে বন্দিদের। গাজার যুদ্ধবিরতির শেষ দিন আজ সোমবার (২৭ নভেম্বর)। আগামীকাল সকালে শেষ হতে যাওয়া এই যুদ্ধবিরতির সময় আরও বাড়ানোর আগ্রহের কথা জানিয়েছে হামাস। খবর এএফপির।
প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির প্রথম তিন দিনে কয়েক ডজন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। বিপরীতে শতাধিক ফিলিস্তিনিকে জেল থেকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতির সময় শেষ দিকে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ নিয়ে বাড়ছে উৎকণ্ঠা। যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়বে কি না এ নিয়ে চলছে জোর আলোচনা।
গতকাল রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘যুদ্ধবিরতিকে এগিয়ে নেওয়া আমাদের মূল লক্ষ্য। বন্দিদের মুক্তি ও গাজায় প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা বাড়াতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘বন্দিদের মুক্ত করার জন্য আমাদের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো উচিত।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘অঞ্চলটির সবাই বন্দিদের মুক্তি দেখতে চায়, এটি আমি বুঝেছি। আর বর্তমানে গাজার নিয়ন্ত্রণ হামাসের কাছে নেই।’
এদিকে, হামাস যুদ্ধবিরতি বাড়াতে ইচ্ছুক বলে একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে। ওই সূত্র বলছে, ‘সশস্ত্র সংগঠনটি মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে, তারা দুই থেকে চার দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর জন্য প্রস্তুত।’ বিষয়টির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ওই সূত্র এএফপিকে বলেছে, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হলে ২০ থেকে ৪০ ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির পূর্ণাঙ্গ চুক্তির শর্তপূরণ সাপেক্ষে এর মেয়াদ বাড়াতে রাজি ইসরায়েল সরকারও।
হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির চার দিনে ৫০ বন্দিকে মুক্তি দিবে হামাস। বিপরীতে ইসরায়েলের জেলে থাকা দেড়শ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিবে ইসরায়েল। আর যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হলে প্রতিদিন ১০ জন করে বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
এএফপি জানিয়েছে, হামাস ছাড়াও ফিলিস্তিনের অন্যান্য সশস্ত্র সংগঠনের কাছে বন্দি রয়েছে। আর এ জন্যই যুদ্ধবিরতির সময় বাড়ানোর প্রক্রিয়া বেশ জটিল। মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে বন্দিদের পরিবার ও মিত্রদের চাপে রয়েছে ইসরায়েল।