অপহরণ করে ছেলেকে বসানো হলো বিয়ের পিঁড়িতে
প্রধানত শীত মৌসুমে ভারতে বিয়ের মৌসুম শুরু হয়। সব বরেরাই গলায় মালা দেওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে বসে থাকেন। তবে, বেশ কিছু বরের মাথায় থাকে বন্দুকও।
এক সময়ে ভারতের বিহার রাজ্যে অপহরণের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। এই প্রদেশেই বরদের অপহরণ করা হয়। এ ছাড়া সেখানে অপহৃত বরের জন্য একটি বিশেষ বাজারও রয়েছে। বরদের অপহরণ করাকে স্থানীয়ভাবে সেখানে বলা ‘পাকাদুয়া বিবাহ’। আর অপহরণের সঙ্গে যুক্ত থাকে বিয়ের বয়স হওয়া নারীদের পরিবার। মূলত, শিক্ষিত যুবক যাদের কি না ভালো চাকরি রয়েছে, তাদেরকেই অপহরণ করা হয়।
বিহারে শিক্ষিত ও চাকরি করা ভালো ছেলে পাওয়া দুষ্কর। এ ছাড়া ভালো ছেলেদের পরিবার বিরাট অঙ্কের যৌতুক দাবি করে। আর এ জন্যই সেখানকার কিছু পরিবার পাকাদুয়া বিবাহের দিকে অগ্রসর হয়।
মাত্র ১২ দিন আগে বিহারের ভাইশালি ডিস্ট্রিক্টে শিক্ষকতার চাকরি পান গৌতম কুমার (২৩)। বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (বিপিএসসি) পরীক্ষা দিয়েই সরকারি চাকরি পান এই যুবক। নিজের কর্মক্ষেত্র অর্থাৎ, স্কুল থেকেই অপহৃত হন গৌতম। প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে, অপহরণ করে একটি গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ওই শিক্ষককে।
এরপরেই অপহরণকারীরা গৌতমকে বিয়ে করবে নাকি গুলি খাবে সেই প্রশ্ন করে। বিয়েই বেছে নেন এই যুবক। পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে দেখা যায়, সদ্য বিবাহিত গৌতমের স্ত্রীকে পাশে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। সনাতন হিন্দু ধর্মের নিয়মকানুন মেনে বিয়ে করেছেন গৌতম।
তবে, গৌতমের ভাগ্য কিছুটা ভালো। কারণ, বিয়ের আসর থেকেই তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। ওই সময় বৃজভূষণ নামে একজনকে অপহরণের দায়ে গ্রেপ্তারও করা হয়। ওই কনের বাবা রাজেশ রায়সহ আরও চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় একটি আদালতে বিষয়টি নিয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন গৌতম। ভুক্তভোগীর পরিবারের শঙ্কা, প্রতিশোধ নিতে পারে কনের পরিবার।