হামাস ও নেতানিয়াহুর পাল্টাপাল্টি হুমকি
ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ তৃতীয় মাসে পা দেবার সঙ্গে সঙ্গে সহিংসতার মাত্রা আরও বেড়েছে। হামাস জানিয়েছে, তাদের দাবি পূরণ না হলে একজন পণবন্দিকেও তারা মুক্তি দেবে না বরং বন্দিদের অন্তিম পরিণতি ভোগ করতে হবে। অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসকে অতিদ্রুত আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছেন। খবর এএফপির।
গতকাল রোববার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বার্তায় হামাসের মুখপাত্র আবু ওবেইদা বলেন, ‘প্রতিরোধ যোদ্ধাদের দাবি পূরণ না হওয়া ছাড়া শত্রুদের এবং তাদের নেতাদের অথবা তাদের সমর্থকদের একজন বন্দিকেও মুক্ত করতে দেওয়া হবে না।’
অন্যদিকে হামাস প্রধানকে উদ্দেশ্য করে নেতানিয়াহু বলেন, ‘হামাস নির্মূল হওয়ার শুরু এটা। হামাসের সন্ত্রাসীদের আমি বলবো এটা শেষ হয়ে গেছে। মরতে যেও না ইয়াহিয়া সিনওয়ার। এখুনি আত্মসমর্পণ কর।’
এর আগে হামাস অভিযোগ করে যে, ইসরায়েল দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস ও মিশর সংলগ্ন রাফা সীমান্তে ‘ভীষণ ভয়াবহ অভিযান’ শুরু করেছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের সশস্ত্র যোদ্ধারা গাজা থেকে ইসরায়েলে প্রবেশ করে এক হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৪০ জনকে অপহরণ করে নিয়ে আসে।
এর জবাবে হামাসকে ধ্বংস করার প্রত্যয় ঘোষণা করে ইসরায়েল এবং গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান চালায় যাতে ১৭ হাজার ৯৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়। হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে নিহতদের বেশিরভাগই অসহায় নারী ও শিশু।
পরে ১ ডিসেম্বর শেষ হয়ে যাওয়া সাতদিনের যুদ্ধবিরতিতে হামাস ১০৫ জন অপহৃতকে মুক্তি দেয়। ইসরায়েল হামাসের দেওয়া শর্তমতে তাদের কারাগার থেকে ২৪০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়।
এদিকে, যুদ্ধের ৬৫তম দিনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যুদ্ধপীড়িত অঞ্চলে অতিদ্রুত চিকিৎসা সহায়তা সামগ্রী পাঠানোর জন্য একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
সংস্থাটির প্রধান তেদ্রোস আধানম গ্রেব্রেয়াসুস বলেন, ‘গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।’ তিনি জানান সেখানকার ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে ১৪টি কেবল নামমাত্র কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস বলেছেন, কৌশলগত ভূরাজনৈতিক বিভাজনের কারণে নিরাপত্তা পরিষদ পঙ্গু হয়ে পড়েছে। আর এজন্য ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে সমাধানের পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে।