ছয় বছর উধাও থেকে দেশে ফিরল ব্রিটিশ কিশোর এলেক্স
ছয় বছর আগে হারিয়ে যাওয়া ব্রিটিশ কিশোর এলেক্স বেটিকে সম্প্রতি ফ্রান্সে খুঁজে পাওয়া যায়। এরপর নিজ দেশে ফিরেছে ওই কিশোর। গ্রেটার ম্যানচেস্টার পুলিশ এ তথ্য দিয়েছে। ২০১৭ সালের এক ছুটিতে মা ও নানার সঙ্গে স্পেনে বেড়াতে যাবার পর এলেক্স উধাও হয়ে গিয়েছিল। খবর বিবিসির।
ম্যানচেস্টার পুলিশ এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, তারা এখনও এলেক্সের হারিয়ে যাবার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেবার মতো গ্রহণযোগ্য কোনো কারণ খুঁজে পায়নি। এ বিষয়ে অপরাধমূলক তদন্ত করা হবে কি না, তা নিয়েও তারা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি।
গত বুধবার এলেক্সকে একজন গাড়িচালক ফ্রান্সের তুলোস শহরের কাছে পাহাড়ের পাদদেশে একটি রাস্তায় খুঁজে পান। গতকাল শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে গ্রেটার ম্যানচেস্টার পুলিশের সহকারী প্রধান কনস্টেবল ম্যাট বয়লে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এ কথা বলতে পেরে আমি খুব আনন্দিত, এলেক্স ছয় বছর পর নিরাপদে যুক্তরাজ্যে ফিরে এসেছে।’
ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, এর আগে এলেক্সের সঙ্গে একজন বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা দেখা করেন এবং পরে তুলোস বিমানবন্দর থেকে পরিবারের এক সদস্যের সঙ্গে যুক্তরাজ্যে ফিরে আসে সে।
ম্যানচেস্টার পুলিশ জানায়, তারা এলেক্সের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য পায়নি। পাশাপাশি নিখোঁজ থাকা অবস্থায় সে কোথায় ছিল বা কী করেছিল, সে সম্পর্কে ফরাসি পুলিশের দেওয়া তথ্য সম্পর্কেও কোনো মন্তব্য করেনি।
সহকারী প্রধান কনস্টেবল ম্যাট বয়লে এ বিষয়ে বলেন, ‘যখন এলেক্স স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে, তখন আমরা তার সঙ্গে আলাপ করে এই মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। এই মুহূর্তে আমরা সিদ্ধান্ত নিইনি অপরাধকে কেন্দ্র করে মামলার তদন্ত কাজ পরিচালিত হবে কি না। তার নিখোঁজ হয়ে থাকার পুরো পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের ধারণা এখনও পরিষ্কার হয়নি।’
ধারণা করা হচ্ছে, এলেক্স তার মা ও নানার সঙ্গে আধ্যাত্মিক সম্প্রদায়ের মতো যাযাবর জীবন যাপন করত। ফ্রান্স পুলিশ জানায়, যখন তার মা ফিনল্যান্ডে যেতে চায়, তখনই এলেক্স পালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়।
মাঝরাতে ওই গাড়িচালক এলেক্সকে খুঁজে পাওয়ার আগে, সে টানা চারদিন ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকার রাস্তায় হেঁটে বেড়িয়েছে বলে ধারণা পাওয়া গেছে।
ভাবিয়েন এসিদিনি নামের ওই চালক জানান, খুঁজে পাবার পর তিনি কিশোর এলেক্সকে তার মোবাইল ফোনটি দেন এবং নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে তার নানির সঙ্গে যোগাযোগে সাহায্য করেন।