গাজার আল-শিফার হাসপাতালকে ‘রক্তগঙ্গা’ বলল ডব্লিউএইচও
ইসরায়েলি বাহিনী অনবরত বোমা হামলায় গাজা উপত্যকার বৃহৎ আল-শিফা হাসপাতালটির জরুরি বিভাগ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। হাসপাতালটিকে রক্তগঙ্গা বলে আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। আজ রোববার (১৭ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থাটি জানিয়েছে, হাসপাতালটির পুনরুত্থান প্রয়োজন। খবর এএফপির।
প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, গাজা উপত্যকার সর্ববৃহৎ হাসপাতালে গতকাল শনিবার চিকিৎসা সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে ডব্লিউএইচও ও জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থাগুলোর একটি দল। এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও বলেছে, ‘হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত গাজাবাসী হাসপাতালটির ভবনটি ব্যবহার করছে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে। সেখানে সুপেয় পানি ও খাদ্যের চরম সংকট রয়েছে।’
বৈশ্বিক সংস্থাটি জানিয়েছে, হাসপাতালটি পরিদর্শন করা দলটি হাসপাতালটির জরুরি বিভাগকে রক্তগঙ্গা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। সেখানে কয়েকশ আহত রোগী রয়েছে। প্রতি মিনিটেই নতুন করে রোগী জরুরি বিভাগে আসছে। জরুরি বিভাগের মেঝেতেই রোগীদের সেলাই করা হচ্ছে। ব্যথা উপশমের কোনো ওষুধ সেখানে নেই।’
ডব্লিউএইচও বলছে, স্বল্প সংখ্যক কর্মী দিয়েই হাসপাতালটি চলছে। সেখানে থাকা গুরুতর রোগীদের অস্ত্রোপচারের জন্য আল-আহলি আরব হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে। আল-শিফা হাসপাতালে প্রতিদিন মাত্র ৩০ রোগীকে ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।
এএফপি জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে হামলার প্রতিক্রিয়ায় অনবরত ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীরে হামলা চালানো হচ্ছে। ইসরায়েলের বোমা হামলায় গাজার স্বাস্থ্য অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলের দাবি, হাসপাতালকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। তবে, বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে গোষ্ঠীটি।
আল-শিফা হাসপাতালের মৌলিক পরিষেবাগুলো পুনরায় চালুর কথা জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। তারা বলছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু করতে হবে।