সাইবার হামলায় ব্যাহত ইরানের জ্বালানি বিতরণ ব্যবস্থা
ইরানের ফিলিং স্টেশনগুলো সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। আজ সোমবারের (১৮ ডিসেম্বর) এই হামলার জন্য ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র দায়ী করছে তারা। এই হামলার জন্য ইরানের ৬০ শতাংশ ফিলিং স্টেশনে জ্বালানি বিতরণ ব্যাহত হয়েছে। খবর এএফপির।
ইরানের জ্বালানিমন্ত্রী জাভাদ ওজি দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমকে বলেন, ‘সারা দেশের বেশিরভাগ গ্যাস স্টেশন সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। এজন্য জ্বালানি বিতরণ বন্ধ হয়ে যায়।’
বহিরাগত শক্তি এই হামলার জন্য দাবি করে ওজি বলেন, ‘ইহুদি শত্রুরা (ইসরায়েল) ও যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য ফ্রন্ট লাইনে আঘাত হয়ে আমাদের সমস্যা তৈরি করতে চায়।’
এর আগে ইরানের উপজ্বালানি মন্ত্রী জলিল সালারি বলেন, ‘ইরানিরা ভর্তুকিযুক্ত পেট্রল কিনতে যে কার্ডগুলো ব্যবহার করে তাতে সমস্যা ছিল।’
এএফপি বলছে, ইরান একটি প্রধান জ্বালানি উৎপাদনকারী দেশ। বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে সস্তায় জ্বালানি পাওয়া যায় দেশটিতে। ইরানের নাগরিকেরা প্রতি মাসে কার্ডের মাধ্যমে ৬০ লিটার ভর্তুকির তেল কিনতে পারে। ভর্তুকি তেলের প্রতি লিটারের দাম পড়ে ১৫ হাজার রিয়াল (ইরানের মুদ্রা) বা তিন মার্কিন সেন্ট।
সালারি বলেন, ‘সিস্টেমের ব্যর্থতার পরে পেট্রল স্টেশনগুলো অনলাইন সিস্টেমের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ও অফলাইনে জ্বালানি বিতরণ করে।’
ইরানে অবস্থান করা এএফপির সংবাদদাতা জানিয়েছে, সমস্যার কারণে তেহরানের পেট্রল স্টেশনগুলোতে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। এ ছাড়া কিছু কিছু স্টেশন বন্ধ হয়ে যায়। কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে তা তদন্তের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। সমস্যা সমাধানে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
ইতোমধ্যে একটি সংকট কমিটি গঠন করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সালারির আশা, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই সমস্যার সামাধান হবে।
এর আগে ২০২১ সালে একই ধরনের সাইবার হামলার শিকার হয়েছিল ইরান। ওই সময় হামলার জন্য এক সপ্তাহ জ্বালানি বিতরণ ব্যাহত হয়েছিল। সে সময়ও হামলার জন্য বিদেশিদের দায়ী করছে ইরান।