মিয়ানমারের উত্তরে গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলের দাবি বিদ্রোহীদের
মিয়ানমারের জাতিগত সংখ্যালঘুদের সশস্ত্র গোষ্ঠীদের জোট গতকাল শুক্রবার ভোররাতে দাবি করেছে যে, তারা দেশটির উত্তরাঞ্চলের একটি শহর দখল করে নিয়েছে। জুয়া, পতিতাবৃত্তি ও অনলাইন কেলেঙ্কারির জন্য শহরটির কুখ্যাতি রয়েছে। তবে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে চলতে থাকা বিদ্রোহ ও সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলন এই শহরটি দখলের মাধ্যমে নতুন গতি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। খবর এএফপির।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সমর্থনপুষ্ট মিলিশিয়ারা চীন সীমান্তের কাছে লাউক্কাই নামের এই ছোট শহরটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল। গত নভেম্বর থেকেই লোকজন শহরটি থেকে পালাতে শুরু করে। এখানে পাচারের শিকার কয়েক হাজার মানুষ অবস্থান করছিল। ২০২১ সালে দেশের ক্ষমতা দখলের পর মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), আরাকান আর্মি (এএ) এবং তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এই তিনটি সশস্ত্র সংগঠন নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের জোট গঠন করার পর বর্তমানে সামরিক বাহিনী সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
এক বিবৃতিতে জোটটি জানায়, লুয়াক্কায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর অপারেশনাল কমান্ড অফিস নিরস্ত্র করা হয়েছে। শহরটিতে আর কোনো সেনাসদস্য অবস্থান করছে না। এতে আরও বলা হয়, বেশ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে আটক করে নিরস্ত্র করা হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে জান্তা সরকারের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এছাড়া, টিএনএলএ’র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল টার ভোন কিয়াউ নিশ্চিত করেছেন যে, এমএনডিএএ লুয়াক্কাই এলাকা দখল করে নিয়েছে। তিনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, এটা তাদের এলাকা, তারা সেটা ফিরে পেয়েছে। টার ভোন কিয়াউ আরও বলেন, ‘এই এলাকায় তাদের লোকজনকে আর সামরিক জান্তার অধীনে থাকতে হবে না।’